নিউজ ডেস্ক:
পুঁজিবাজার থেকে বন্ড ছেড়ে টাকা তুলে গুলশান-২ নম্বরে ডিএনসিসি মার্কেটের উন্নয়ন করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি); অনুমোদন পেলে যেটি হবে দেশের প্রথম মিউনিসিপাল বন্ড।
খুব দ্রুত এ বন্ড পুঁজিবাজারে আনতে কার্যক্রম এগিয়ে চলার কথা জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
তিনি সম্প্রতি বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বন্ড বাজারে ছাড়ার বিষয়ে অনেকটুকু কাজ আমরা গুছিয়ে এনেছি। এখন এ বন্ডের মেয়াদ এবং সুদের হার কত হবে এগুলো ঠিক করতে হবে। সেগুলো ঠিক হলে এ বন্ড বাজারে ছড়ার ঘোষণা দেওয়া হবে।”
সাধারণত মিউনিসিপাল বন্ড অন্যগুলোর তুলনায় দীর্ঘমেয়াদি এবং সুদের হারও বেশি হয়ে থাকে। এ ধরনের বন্ডে বিনিয়োগ করলে কর ছাড়ও পাওয়া যায়।
মিউনিসিপাল বন্ডের মাধ্যমে সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে অর্থায়ন করা হয়ে থাকে, যেমন- স্কুল, মহাসড়ক অথবা সুয়ারেজ সিস্টেম।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) এ মার্কেট তৈরি করতে এক হাজার কোটি টাকার মতো লাগবে জানিয়ে বিএসইসি কমিশনার বলেন, উন্নত দেশেগুলোতে মিউনিসিপাল বন্ড অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে।
গুলশান ২ নম্বরে অবস্থিত বর্তমান ডিএনসিসি মার্কেটের স্থানে আধুনিক স্থাপনা গড়ে তোলার কথা এর আগে জানিয়েছেন উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামও।
গত ১৫ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে এ মার্কেট উন্নয়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে দেশের প্রথম ‘সিভিক সেন্টার’ নির্মাণ করা হবে; যেখানে থাকবে নগরবাসীর জন্য দিনব্যাপী বিনোদনের ব্যবস্থা।
বর্তমান মার্কেটের স্থানে ২০তলা এ সেন্টার গড়ে তোলার পাশাপাশি সেখানে ৩০তলা সিটি ভবন স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও সেদিন বলনে তিনি।
মেয়র আতিক সেদিন সিভিক সেন্টার ও ডিএনসিসি টাওয়ারের নকশা তৈরির জন্য স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার কথাও জানান। নকশা তৈরির জন্য আহ্ববান করা প্রতিযোগিতায় জয়ী মো. শরীফ ইউ আহমেদের প্রতিষ্ঠানটি এ দুই ভবনের নকশা করবে বলে জানান তিনি।