নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্বাচনী এলাকা নাটোর-৩। শনিবার সকালে নাটোরের সিংড়ায় সিংড়া উপজেলা কোট মাঠ প্রাঙ্গণে বসলো দেশের প্রথম জিআই পণ্য-ভিত্তিক স্মার্ট ভিলেজ এক্সপো। একই সঙ্গে শুরু হলো সুইসকন্টাক্ট-এর তত্ত¡াবধানে ও ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড পরিচালিত “বিল্ডিং ইয়ুথ এমপ্লায়াবিলিটি থ্রু স্কিলস প্রকল্পের আওতায় ৩ মাস মেয়াদি ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এছাড়াও নিজের নামে পেনশন স্কিম খুলে নিজ জেলায় এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে করেন জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভ‚ঁইয়া।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিম তাবাসসুম প্রভার সঞ্চালায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নাটোর পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন, সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রত্যেককে চাকরি দেয়া সম্ভব না হলেও সবার জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। বাংলাদেশের কোনো তরুণ-তরুণী ইনশাআলাহ কর্মহীন থাকবে না। বেকার থাকবে না।
এজন্য তাদেরকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী। এক্ষেত্রে সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগ ও কর্মস‚চির কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দ‚রদর্শী নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় অন্তর্ভুক্তিম‚লক স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলা হচ্ছে। তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার করে ২০৪১ সালের আগেই আমরা পৌঁছে যাবে স্মার্ট বাংলাদেশের অভীষ্ট লক্ষ্যে।
পলক আরও বলেন, দেশে লোকসানে থাকা ডাকঘরকে লাভজনক করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নয় হাজার ৯৭৪টি ডাকঘরের মধ্যে সাড়ে আট হাজার ডাকঘরকে ই-পোস্ট সেন্টারে পরিণত করা হচ্ছে। আধুনিক ভবন তৈরি এবং আধুনিকায়নের মাধ্যমে প্রত্যেক ডাকঘর এক একটি স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে পরিণত হচ্ছে। শুধু চিঠির লেনদেন নয় ব্যাংকিং, লজিষ্টিকস্, ই-কমার্স, গ্রোসারি-শপ, ডিসপেনসারী কার্যক্রমও পরিচালিত হবে ডাকঘরে। তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রসার ঘটাতে ডাকঘর আধুনিকায়নের এসব সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।