নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘দেশের প্রতি আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি দরদ কারো নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়ন করেছে, মানুষের কল্যান করেছে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। নৌকা মার্কা স্বাধীনতার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক। ৭ জানুয়ারি সারাদিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন।’
আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের আয়োজনে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নওহাটা গরুর হাট সংলগ্ন মাঠে বিশাল নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশাল নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় এনেছেন। বিভিন্ন ভাতা প্রদান করেছেন। আজ মানুষ তার প্রতিদান দিতে চায়। আজকে শীত উপেক্ষা করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ সভায় এসেছেন। এটি প্রধান করে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি বৃথা যায়নি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যখন নির্বাচন আসে তখনই বিএনপি জামায়াত-নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না। তারা জনগণের রায়ের মুখোমুখী হতে ভয় পায়, সেকারণে তারা নির্বাচনে অংশ নেয় না। তারা বলার মতো কোন ইতিবাচক কাজ করেনি। বিধায় তারা নির্বাচনে না এসে নির্বাচনে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। তারা বিদেশীদের কাছে বলতে চায়, ‘এই নির্বাচনে জনগণ অংশ নেয়নি, ভোট দিতে আসেনি, কাজেই এই নির্বাচনের রায় মেনে নেওয়া যায় না।’ সেই কারণে তাদের মুখে ছাই দেওয়ার জন্য আজকের এই নির্বাচনী সভায় হাজার হাজার মানুষ এসেছেন। ৭ জানুয়ারি সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে যাবেন। ৭ জানুয়ারি কেউ ভোট প্রদানে বাধা দিতে আসলে তাদেরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের নিকট সোর্পদ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো। যে সিন্ডিকেট রয়েছে, সেটি ভেঙ্গে দেওয়া হবে। আগামী ৫ বছরে ১ কোটি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। শেখ হাসিনা যা বলেন, সেটিই করেন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দের রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হবে। দ্বিতীয় টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। এটি নির্মিত হলে রাজশাহী থেকে সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে সবজি, পান ইত্যাদি পণ্য রপ্তানী করা যাবে। এতে করে রাজশাহীর মানুষ লাভবান হবেন।
নির্বাচনী সভার প্রধান বক্তার বক্তব্যে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমার রাজনীতির অতীত মানুষকে সম্মান করা। আমার রাজনীতির পথচলা ঐক্যবদ্ধভাবে এলাকার উন্নয়নে নিজেকে সমাদৃত করা। সেই সুযোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দিয়েছেন। আমি সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের হাত ধরে পবা-মোহনপুরের উন্নয়ন বেগবান করতে চাই। আমি রাজনীতি করি সম্মান অর্জনের জন্য, অর্থ উপার্জনের জন্য নয়। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিবেদিত মানুষ। আগামীতে খায়রুজ্জামান লিটনের হাত ধরে পবা-মোহনপুরের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই।
পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী নির্বাচনী সভায় সভাপতিত্ব করেন। পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নওহাটা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান বাবু, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আলী আজম সেন্টু, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু আলিল কুমার সরকার, জেলা আওয়া লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মস্তাফিজুর রহমান মাঞ্জাল, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের বোয়ালীয়া পুর্বের সভাপতি আতিকুর রহমান কালু, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক হোসেন ডাবলু, হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেবর আলী, বড়গাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ আব্দুল মোমিন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদ আল হাসান তুহিন, ফয়সাল আহমদ রুনু, ছাত্রলীগ রাবি শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিবসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।