দেশের চা শিল্পের ইতিহাসে উৎপাদনের নতুন রেকর্ড গড়েছে ২০১৯ সালে চা উৎপাদন। গত বছর মোট চা উৎপাদন হয়েছে ৯৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন কেজি বা ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ কেজি বেশি।
বাংলাদেশ চা বোর্ড (বিটিবি)-এর পক্ষ থেকে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. একে এম রফিকুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিটিবি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে উৎপাদিত চায়ের পরিমাণ ৮ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার (৮২.১৩ মিলিয়ন) কেজি, যা দেশের চা উৎপাদন মৌসুমের (২০১৮) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে, ২০১৬ সালে আগের সব রেকর্ড ভেঙে ৮ কোটি ৫৫ লাখ (৮৫. ৫ মিলিয়ন) কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়েছিল।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) মো. মুনির আহমদ বলেন, ‘চা উৎপাদনে সর্বকালের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে ৯৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বিদেশি কোম্পানি, সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ছোটবড় মিলিয়ে বাংলাদেশে ১৬২টি চা বাগান গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে ৯২টি চা বাগান মৌলভীবাজারে।
শ্রীমঙ্গল জেমস ফিনলে টি কোম্পানির ভাড়াউড়া ডিভিশনের জিএম ও বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, ‘চায়ের উৎপাদন ভালো হলেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। ভারত থেকে নিম্নমানের চা চোরাইপথে বাংলাদেশে আসছে, যা অত্যন্ত নিম্নমানের, খাওয়ার অযোগ্য। ভারত থেকে নিম্নমানের চা আমদানি ও চোরাইপথে আসা চা-পাতা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে দেশীয় চায়ের মূল্য থাকবে না।’