নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিদেশ ফেরত নারীদের নির্যাতনের কাহিনী দেখে কাজের জন্য এখন আর দেশের বাইরে যেতে চান না নাটোরের নারীরা। দরিদ্র নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে জেলা নারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলছে ৬টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ। ভাতা পাওয়া ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা থাকায় দরিদ্র নারীরা ঝুঁকছেন এ প্রশিক্ষণে।
সংসারে সচ্ছলতা আনতে বিদেশ গিয়ে অনেক নারীকে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নাটোরের দরিদ্র নারীরা সংসারে সচ্ছলতা আনতে বিদেশে পাড়ি না দিয়ে দেশেই প্রতিষ্ঠিত হতে চান। তাই জেলা মহিলা কর্মকর্তার কার্যালয়ের দর্জি বিজ্ঞান ও অ্যামব্রয়ডারি, বিউটিফিকেশন, নার্সারি ও কিচেন গার্ডেনিং, মোমবাতি ও শপিং ব্যাগ তৈরি এবং কম্পিউটারের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারা।
ছুটির দিন বাদে সপ্তাহে ৫ দিন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। আর প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিদিন ১শ’ টাকা করে ভাতা দেয়া হয়। এছাড়া কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রশিক্ষণ শেষে স্বল্প সুদে ১৫ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। এতে দরিদ্র নারীরা নিজেদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সংসারে সচ্ছলতা আনছেন। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের বিদেশ যাওয়া ধীরে ধীরে বন্ধ হবে বলে মনে করেন প্রশিক্ষকরা।
তারা বলেন, এসব শিখলে নিজেদের হাত খরচের টাকাটা হলেও চালাতে পারব। তাই কাজগুলো শিখছি। আমরা ভাতাও পাচ্ছি কাজ শেখার জন্য।
১৮ থেকে ৪৬ বছর বয়সী নারীদের ৬টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য তানা দৈনিক ১০০ টাকা ভাতা পাচ্ছে। প্রতি ৩ মাস পরপর নতুন করে ভর্তি নেয়া হয়।
গত ২ বছরে অষ্টম শ্রেণি থেকে এইচএসসি পাস পর্যন্ত নাটোরে ১ হাজার ৪০ নারী ৬টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।