নিউজ ডেস্ক:
অবশেষে ইন্টারনেট গ্রাহকদের জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। এখন থেকে সারা দেশে এক রেটে একই পরিমাণ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পাবেন গ্রাহকরা। ৫ এমবিপিএস সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা এবং ২০ এমবিপিএস সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ টাকা থেকে সর্বনিম্ন এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির প্রধান সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গতকাল রবিবার থেকেই এ রেট কার্যকর করার কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন বাড়ি বাড়ি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া। প্রত্যন্ত এলাকার একটি বাড়িও এ সেবা থেকে বাদ যাবে না।’
বিটিআরসির চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সেবাপ্রাপ্তি আরো সহজ করার লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব উল্লেখ করে জানান, বিটিআরসি টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখে সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন জানান, নতুন এক দেশ এক রেট নির্ধারণের ফলে প্রান্তিক গ্রাহকরা নির্দিষ্ট মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পাবেন এবং এর ফলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হারও বাড়বে। তবে ইন্টারনেট সেবাদানকারীরা যেন প্যাকেজে নির্দিষ্ট গতি পায় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র জানান, এক দেশ এক রেট ট্যারিফ নির্ধারণের ফলে ইন্টারনেট সেবা প্রদান ও গ্রহণের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপনের পাশাপাশি পুরো ট্যারিফ নির্ধারণ প্রক্রিয়ার বিষয়টি জানান।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল হাকিম এনটিটিএন ও আইআইজিদের ট্যারিফ নির্ধারণের জন্য বিটিআরসির প্রতি অনুরোধ জানান। এ ছাড়া বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন এবং এনটিটিএন ও আইআইজি অপারেটরদের প্রতিনিধিরা বিটিআরসির এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।