নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর:
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কান্দুলী আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর গুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কার সম্প্রসারণের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বসবাসকারীদের। জানা গেছে ১৯৯৯ সালে উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের কান্দুলী গ্রামে এ আশ্রয়ণ প্রকল্পেটি নির্মাণ করা হয়। সাড়ে সাত একর সরকারি খাস জমির উপর একটি পুকুর সহ ৬টি ঘর নির্মাণ করা হয়। ওই ৬ টি ঘরে ৬০ টি কক্ষ রয়েছে। প্রতিটি কক্ষে একটি করে ছিন্নমূল ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।
বর্তমানে এখানে ছোট-বড় নারী-পুরুষ শিশুসহ প্রায় দুই শতাধিক লোকের বাস। আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা খলিলুর রহমান, ইউনুস আলী, মহির উদ্দিন, শাহ আলম বলেন প্রকল্পটির নির্মাণের পর কেউ আর তাদের খোঁজ-খবর নেয়নি। সবাই দিনমজুরি করে পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। ফলে ঘরগুলো সংস্কার করতে পারেনি আশ্রয়নের বাসিন্দারা।
ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, আশ্রয়ের ঘরগুলো ভেঙে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় আশ্রয়নের বাসিন্দাদের। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় মেঝেগুলো। নলকূপ গুলো অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় এখানে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। প্রকল্পের ভিতর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কারের জন্য আবেদন নিবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। ঘরগুলো সংস্কারের অভাবে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারিভাবে কিছু বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তা থেকে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া সংস্কারের বিষয়ে যে পরিমাণে বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …