নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর
বিধিবর্হিভূতভাবে তিন বছর যাবৎ সরকারী ভাতা উত্তোলন করলেও সেই ওয়ার্ড সদস্যের পক্ষেই সাফাই গাইলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা। মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে এক সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি জানান, ১ নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম আজাদ ২০১৬ সালে নির্বাচনের পর থেকেই সুখে দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে থেকেছেন এবং চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর থেকেই আবুল কালাম নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে তার স্ত্রীর অনুরোধে ২৬ জুন পরিষদের সভায় সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম আজাদের মে এবং জুন মাসের ভাতা তার স্ত্রী মাসুদা বেগমকে দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ‘নাটোরের লালপুরে ৩ বছর যাবত কাতার প্রবাসি, নিয়মিত উঠছে বেতন ভাতা এমন শিরোনামে সংবাদ প্রচার হয়, যা সঠিক নয়। এই ঘটনা জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়। ভুল তথ্যের ভিত্তির প্রচারিত সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য জনগনের প্রতি আহবান জানানো হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, মানবিক কারণে আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সন্তানদের ২ মাসের ভাতার টাকা দেওয়া হয়েছে। এটা কোন দুর্নীতি হতে পারেনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, গত ২৭ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে এলাকাবাসী জানায়, বিধিবর্হিভ‚তভাবে কদিমচিলান ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রায় তিন বছর যাবৎ কাতার অবস্থান করছেন। গণমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচার হয়। পরে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে সহকারী কমিশনার ভ‚মি (এসিল্যান্ড) সাদিয়া আফরিনকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তাধিন একটি বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যানের অতি উৎসাহের ব্যাপারটি কাম্য নয়। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারেই দেখা হচ্ছে।