শনিবার , এপ্রিল ২০ ২০২৪
নীড় পাতা / Uncategorized / দুর্নীতিতে ‘জিরো টলারেন্স’, নার্সিং খাতে আমূল পরিবর্তন

দুর্নীতিতে ‘জিরো টলারেন্স’, নার্সিং খাতে আমূল পরিবর্তন

নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণে বর্তমান নার্সিং কাউন্সিল প্রশাসন নার্সিং-মিডওয়াইফারি শিক্ষা এবং প্রতিষ্ঠানের মান বৃদ্ধিতে কাজ করে চলছে। যার কারণে দেশের নার্সিং শিক্ষা খাতে আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

জানা গেছে, বিগত কয়েক বছরে বেসরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠান অনুমোদনে যে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ ছিল- তা অনেকটাই এখন বন্ধ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য-শিক্ষা বিভাগ ও বর্তমান নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং কাউন্সিল রেজিস্ট্রার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু প্রতিষ্ঠান মালিক এবং কথিত নতুন উদ্যোক্তারা। সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব মালিকপক্ষের ধারণা ছিল; অতীতের ন্যায় নামমাত্র জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাণিজ্যের মাধ্যমে নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিক বনে যাওয়া।

বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ওয়েবসাইট হতে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, ২০১৯ সালের আগে সরকারি-বেসরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ছিল ২০০ এবং আসন সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার। যা ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০০ এবং আসন সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার; যার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান হয়েছিল ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে। অভিযোগ রয়েছে, কাউন্সিলের কিছু সংখ্যক কর্মচারী; যারা পূর্বের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে বিভিন্নভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পাইয়ে দিত।

সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান রেজিস্ট্রার দায়িত্ব পাওয়ার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কারণে এসব ফন্দিফিকির অনেকটাই এখন বন্ধ। এজন্য কিছু সংখ্যক কর্মচারী দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকদের যোগসাজশে বর্তমান প্রশাসন-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়ে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, গত দুই বছর আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম কার চাকরি করি; কাউন্সিলের নাকি প্রতিষ্ঠান মালিকের। গত দু’বছর পরীক্ষার সিটপ্ল্যান ও কেন্দ্র ঠিক হত মালিকপক্ষের কথায়। এতদিন পরীক্ষা হতো, তবে কে নিতো আমরা জানতাম না। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রাশিদা আক্তার বলেন, অফিস অফিসের নিয়মে চলবে। নিয়মমাফিক সবকিছু হবে, এর বাইরে নয়।

আরও দেখুন

পরিবর্তন হলো ২৪৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম

নিউজ ডেস্ক: শ্রুতিকটূ ও নেতিবাচক অর্থ বোঝায় এমন ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *