নিজস্ব প্রতিবেদক, দুপচাঁচিয়া:
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভ্যাপসা গরমে ডাব যেন আকাশ ছোঁয়া ক্রেতাদের কিনতে হিমসিম। প্রচন্ড তাপদহ ও গরমে পড়ার সাথে সাথে ডাব বিক্রেতাদের কদর বেড়েছে। দুপচাঁচিয়ায় এখন প্রতিটি ডাব প্রকারভেদে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা হতে ১৪০ টাকা দরে।ডাবের দাম বাড়লে বিক্রি কম কারন ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।
ডাব বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের এই এলাকায় ডাবের ফলন কম বলে খুলনা-বরিশাল থেকে বর্তমানে ডাব এনে পরিবহন খরচ বেশী পড়ছে বলে আড়ৎগুলোতে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে।এই রকম গরম যদি কমে না যায় তাহলে ডাবের দাম আরো বৃদ্ধি পাবে।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা এলাকায় কয়েক জন ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকায় ডাব বিক্রি করতে গেলে ক্রেতারা দাম শুনে কিনতে পারছেনা। গত এক মাস আগে যে ডাব ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই ডাব বর্তমানে ৮৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
রনি জানায়, ভানে করে ১০০টা ডাব শহরে বিক্রি করার জন্য বেড় হলে অধিকাংশ সময়ে ৪০/৭০টা ডাব বিক্রি করলে অনেক কথা খরচ করতে হয়। কারন ক্রেতারা কচি ডাব কেনার জন্য এলে আমরা দিতে পারিনা বেশীর ভাগই ডাব নারিকেল যুক্ত।ডাবের দাম বাড়লেও ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে।
দুপচাঁচিয়া থানাধীন বাজারদিঘী এলাকার শামছুল হক বলেন, ডাব কেনার বয়সে এবার প্রথম ১৪০ টাকা দিয়ে কিনে খেলাম করার কিছুই নেই।
এ ব্যাপারে সরজমীনে দুপচাঁচিয়া থানা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ডাবের আড়ৎ গিয়ে মালিক সানোয়ার সংগে কথা বলে জানায়, খুলনা-বরিশাল,যশোহর এলাকায় প্রতি বছর অনেক ডাবের ফলন হয় কিন্তু প্রকৃতির আবহাওয়ার কারনে এবার ডাবের ফলন কম হয়েছে বিধায় আমরা যে দামে মোকাম থেকে ডাব কিনছে এরপর পরিবহন ভাড়া দিয়ে আমরা লাভের মুখ দেখছিনা। বর্ষা মৌসুমে অবশ্যই ডাবের দাম কমে আসবে বলে তিনি আশাবাদী।