রবিবার , নভেম্বর ১৭ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / দুপচাঁচিয়া সরকারি খাদ্য গোডাউনে বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দুশ্চিন্তা

দুপচাঁচিয়া সরকারি খাদ্য গোডাউনে বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দুশ্চিন্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, দুপচাঁচিয়া(বগুড়া):
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সরকারি খাদ্যগুডাউনে ইরি বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দুশ্চিন্তায় দেখা দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত ধানের দাম খোলা বাজারের চেয়ে বেশি হওয়ায় সরকারি খাদ্য গুডাউনে থেকে বিরত থাকে কিছু কৃষক ও চাউল কল-মালিক সমিতি বলে কৃষকের কাছ জানা যায়।

চাউর-কল মালিকেরা জানান,ইরি বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই মহামারী করোনা এবং বৃষ্টির কারণেও চাউল তৈরির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। গত এক বৎসর যাবত সরকার নির্ধারিত ধান,চালের মূল্য চেয়ে খোলা বাজারের দাম বেশি হওয়ায় খাদ্য গুডাউনে ধান ও চাল দিয়ে লোকসান পড়তে চান না মিলার ও অনেক কৃষক। কৃষকদের কাছ থেকে ধান ও চালের যে মূল্য তালিকা সরকার ক্রয় করার জন্য ঘোষনা দিয়েছে তার চেয়ে বাজারে ধান ও চাল মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় চাল দিতে পারেনাই অনেক মিলারেরা আর বাজারে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকেরা সরকারি গোডাউনে ধান ও চাল দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বাইরে হাট বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় প্রতি কেজি চাউল উৎপাদন করতে যে খরচ হয় তারচেয়ে সরকার যে মূল্য করে দিয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি।

দুপচাঁচিয়া চাউল-কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৌসুমে শুরুতে ধানের দাম কম ছিল কিন্তু হঠাৎ করে দাম বেশি হওয়ায় ধান কিনে চাতালে নিয়ে খাদ্য গোডাউনে সরবরাহ করলে লোকসান গুনতে হয়। এবারও লোকসানের ভয়ে গত বছরের মতো অনেক মিলার সরকারের সাথে চুক্তি হয়েও চাউল দিচ্ছেনা।

এবার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় সরকার চলতি বোরো মৌসুমে খাদ্য বিভাগের সাথে সরকারি তালিকাভুক্ত ৩০০ টি হাসকিংমিল ও ১৪টি অটো রাইস মিল থেকে ১১ হাজার ১২১ মেট্রিক টন চাউল এবং লটারি মাধ্যমে কৃষক থেকে ১৬৪২ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি ইরি বোরো মৌসুমে ২৭ টাকা কেজি দরে ১৬৪২ মেট্রিক টন এবং ১১ হাজার ১২১ মেট্রিক টন চাউল ৪০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করা হবে। ইতিমধ্যে ২৯৪ টি হাসকিং মিল এবং ১৪ টি অটো রাইস মিল পে-অর্ডার করে সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

কিন্তু ২ আগষ্ট পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে ১৫২১ মেট্রিকটন ধান আর চাউল সংগ্রহ করা হয়েছে ৭৪৪৬ মেট্রিকটন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জানান, মিল মালিকেরা পে-অর্ডার করে সরকারের সাথে চাউল সরবরাহের চুক্তি হয়েছে। খাদ্য বিভাগ থেকে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে চাউল সংগ্রহ অভিযান সফল করতে আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আশা করছেন ১৬ আগষ্টের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে বিশ্বাস।

আরও দেখুন

লালপুরে যুবদলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,১৭ নভেম্বর:নাটোরের লালপুর উপজেলার ঈশ^রদী ইউনিয়ন যুবদলের উদ্দ্যোগে শান্তি ওকর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। …