শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / বগুড়া / দুপচাঁচিয়ায় অনুমদনহীন এলপিজি গ্যাস বিক্রির রমরমা ব্যবসা

দুপচাঁচিয়ায় অনুমদনহীন এলপিজি গ্যাস বিক্রির রমরমা ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক, দুপচাঁচিয়া:
বগুড়ার দুুুুপচঁচিয়া থানাধীন পৌর সহ ৬টি ইউনিয়নে সরকারি অনুমদন ছাড়া এলপিজি গ্যাসের বোতল বিক্রয় করছে। প্রশাসনের দেখার কেউ নেই।দুপচাঁচিয়া উপজেলা রোড হইতে সি.ও অফিস বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুই পার্শ্বে কোকারীজের দোকানে, প্যালাষ্টিক আসবাসপত্রে দোকানে, সিলভার তৈজস পত্র দোকানে সরকারি অনুমদন ছাড়া দিদারছে এলপিজি গ্যাস ভর্ত্তি বোতল বিক্রয় করছে।

সরজমিনে দুপচাঁচিয়া থানাধীন কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, যে প্যালাষ্টিক আর.এফ.এল কোঃ আসবাসপত্র দোকানে ও বেঙ্গল কোঃ আসবাস পত্রের দোকানে এলপিজি গ্যাস বিক্রয় করছে কিন্তু যদি কখনও এলপিজি গ্যাস বোতলের দ্বারায় আগুন অথবা গ্যাসের বড় ধরনে বিষ্ফোরন ঘটে তাৎক্ষনিক দূর্ঘটনা এরাতে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেই এবং এধরনের প্রায় দোকানে অগ্নি নির্বাপক নাইট্রোজেন কার্বন ড্রাই-অক্সাইড সিলিন্ডার বোতল নেই বলে দেখা যায়। দুপচাঁচিয়া থানাধীন পূর্ব আলোহালীর পার্শ্বে মরছ্যাপাড়া মাজার সংলগ্ন এলাকায় পানের দোকানেও এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল কিনতে পাওয়া যায় দুপচাঁচিয়া থানাধীন বাজারদিঘী সাজাপুর হাট, চৌমুহনীবাজার, সাহারপুকুর বাজার, তালোড়াবাজার,জিয়ানগর বাজারে সরকারি অনুমদনহীনভাবে এল.পি.জি গ্যাস বিক্রি হচ্ছে।

এব্যাপারে দুপচাঁচিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের দায়ীত্ব প্রাপ্ত অফিস ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সংগে সাক্ষাত করলে তিনি জানান এলপিজি গ্যাস বিক্রি করার অনুমতি আমাদের অফিসের দায়ীত্ব না। তিনি বলেন এলপিজি গ্যাস বিক্রয়ের আগে পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র লাগবে এরপর বিষ্ফোরক অধিদপ্তরে লাইসেন্স নিয়ে পরবর্তি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিস হইতে অগ্নি নির্বাপক নাইট্রোজেন কার্বন ড্রাই অক্সাইড গ্যাসের সিলিন্ডার বোতল অবশ্যই থাকিতে হইবে এবং সেই এলাকায় ব্যবসার জন্য সরকার কর্তৃক ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স করে ব্যবসা বা বিক্রয় করার অনুমতি পাবে। এলপিজি গ্যাস বিক্রয় করার জন্য অনুমতি থাকলে সেখানে নাইট্রোজেন কার্বন ড্রাই-অক্সাইড নামে অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার বোতল অবশ্যই থাকতে হবে।বিশেষ করে দুপচাঁচিয়া বাজার তিন-মাথার মোড়ে যত্র তত্র ভাবে সারাদিন ট্রাকে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল র্লোড করে, এতে করে ঐ এলাকায় আবাসিক বসবাস রত মানুষ বিভিন্ন ধরনের অসুবিধায় পড়ে ও ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনার বিঘ্নিত হয়।

পৌর এলাকার বসবাস রত জনগন মতামত গোডাউন নিয়ে ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই নিরিবিলি এলাকায় গোডাউন স্থানান্তর করার জোর দাবী, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী ব্যবসা করছে, প্রশাসন একেবারে নীরব ভূমিকা? ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিস থেকে বছরে একবার এসে কিছু কিছু দোকানে এসে নাইট্রোজেন কার্বন ড্রাই অক্সাইড গ্যাসের বোতল আছে কি না সেগুলো পরিদর্শন করার জন্য হঠাৎ করে খোজঁ খবর করে যান। প্রশাসনের নজরে পড়ছেনা। যখন বড় ধরনে অগ্নিকান্ড বা বিষ্ফোরন হবে তখন প্রশাসন নরে চরে বসে। এই সকল গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে সমিতি গঠন করে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত সমিতি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নয়।

ঐ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আহম্মদ আলী জানান, পরিবেশ অধিদ্পতরের নিকট থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছি, লিখিতভাবে সরকারি ছাড়পত্র নেই। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহির বলেন ওই সকল ব্যবসায়ী দেরকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ব্যাবসা পরিচালনার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এরপর আবারো সনজমিনে গিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও দেখুন

নাটোর স্টেশন এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,,,,নাটোরের স্টেশন এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় জমিন উদ্দিন (৫৫) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নিহত হয়েছে। …