নিউজ ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ ও বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় উৎস সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আনুষ্ঠানিক সংযোগ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ থেকে ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইউএই সফর করতে পারেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, এফবিসিসিআইর প্রতিনিধি ও বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৫০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজনেস কাউন্সিলের সভায় ইউএইর সমানসংখ্যক প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেন বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান। দুবাই এপিবিশন সেন্টার অথবা দুবাই বা আবুধাবির উপযুক্ত কোনো স্থানে ৯ অথবা ১০ মার্চ জেবিএফের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরাত সফর করেন। তখন বাংলাদেশে বন্দর, শিল্প পার্ক, এলএনজি টার্মিনাল, পাওয়ার পল্গান্ট ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন দুবাইয়ের ব্যবসায়ীরা। দুবাইয়ের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে গাজীপুরের ধীরাশ্রমে ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো স্থাপন। ডিপো স্থাপন করতে আগ্রহী দুবাইভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ড। সেখানে একটি শিল্প পার্কও করতে চায় কোম্পানিটি।
এ ছাড়া পায়রায় ভূমিভিত্তিক এলএনজি রিসিভিং সেন্টার করতে আগ্রহী দেশটির বিনিয়োগকারীরা। এজন্য ৩০০ একর জমি চেয়েছেন তারা। এ ছাড়া আমিরাতের রাজপরিবারের সদস্য ও বিনিয়োগকারী শেখ আহমেদ ডালমুখ আল মাখতুম এবং পিডিবির মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতার আওতায় দুই ধাপে ৮০০ থেকে ১০০০ মেগাওয়াটের এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং ১০০ মেগাওয়াটের আরেকটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। মাতারবাড়ীতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়েও চুক্তি করেন শেখ আহমেদ ডালমুখ।
দুই দেশের মধ্যে গত বছর বাণিজ্য ১৫ শতাংশ বেড়ে ১২০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী গত অর্থবছরে বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪৯ কোটি ৫৮ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে।