শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / গুরুদাসপুর / দুই ক্যাবল অপারেটরের পরিচয়পত্র গলায় থাকা সত্তে ও পেটালেন গুরুদাসপুর থানা পুলিশ

দুই ক্যাবল অপারেটরের পরিচয়পত্র গলায় থাকা সত্তে ও পেটালেন গুরুদাসপুর থানা পুলিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুরঃ

করোনায় চাঁচকৈড় বাজারে ডিস ক্যাবল লাইনের কাজে বের হওয়া গলায় পরিচয়পত্র ও মুখে মাস্ক থাকা সত্তেও ক্যাবল অপারেটরের কর্মরত দুই সদস্যকে লাঠি দিয়ে পেটালেন গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। নাটোরের গুরুদাসপুরে স্থানীয় হীরক সাটভিশন এ্যান্ড ইশতিয়াক ক্যাবল নের্টওয়াকে কর্মরত রুবেল ও রানা নামের দুই অপারেটরের লাঠি চার্জ করে বেধক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে গুরুদাসপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে।

আজ সকাল ১১টায় গুরুদাসপুর পৌরসদরের চাঁচকৈড় বাজারে জনতা ব্যাংকের সামনে রোডে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে চাঁচকৈড় বাজারে লকডাউন বাস্তবায়নে জনসমাগম ঠেকাতে থানার পুলিশ সদস্যগণ চাঁচকৈড় বাজারে টহল দিচ্ছিলেন। কর্মরত দুই সদস্য এসময় গলায় পরিচয়পত্র ও মুখে মাস্ক নিয়ে ক্যাবল লাইনের কাজে উদ্দেশে জনতা ব্যাংকের সামনের রোড দিয়ে যাচ্ছিছিলেন। এমন সময় পুলিশ সদস্যগণ রাস্তায় বের হওয়া স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরে কর্মরত দুই সদস্যকে কোন প্রকার জিজ্ঞাসা না করেই লাঠি চার্জ করে বেধক মারধর শুরু করেন।

দুই সদস্য চিৎকার করে বলতে থাকে স্যার, আমারা এখানকার স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরে কাজ করি,দেখুন আমাদের গলায় পরিচয়পত্র ঝুলানো আছে। স্যার, আমরা কাজে বের হয়েছি।এই কথা বলা সত্তে¡ও তাদের আরো বেশি করে মারধর শুরু করে। পথিমধ্যে ওই রাস্তায় দিয়ে জনৈক এক ব্যক্তি যাওয়ার পথে বলতে থাকে স্যার, তারা দুইজনই এখানকার ক্যাবল অপারেটরে কাজ করে। পরে তাদের উপর মারধর বন্ধ করে ছেড়ে দেয়।

দুই সদস্যকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন,আমরা সকালে ডিস লাইনের ক্রটি থাকায় ক্যাবল অফিস থেকে গলায় পরিচয়পত্র ও মুখে মাস্ক নিয়ে রাস্তায় বের হই। এমন সময় জনতা ব্যাকের সামনে রোডে গেলে গুরুদাসপুর থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য শাহ আলমসহ কয়েক পুলিশ সদস্য আমাদের কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই আমাদের উপর চড়া হয়ে মারধর শুরু করে। ক্যাবল লাইনে কর্মরত বলা সত্তে¡ও আরও বেশি চড়া হয়ে মারধর শুরু করে। পরে চিৎকার করে বললে তারা আমাদের ছেড়ে দেয়।

স্থানীয় দুই ক্যাবল মালিক খালেদ হোসেন হীরক ও আব্দুল্লাহ শেখ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্যাবল অপারেটরের কর্মরত সদস্য গ্রাহকদের ডিস লাইনে সংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে প্রতিনিয়ত মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। আমারা গ্রাহকদের কাছ থেকে মাসিক বিলও ঠিকমত পাচ্ছি না । নিজ হতে কর্মচারীদের মাসিক বেতন পরিশোধ করতে হচ্ছে। এভাবে আমাদের কর্মরত অপারেটরগণ হয়রানীর স্বীকার হলে ডিস লাইনের গ্রাহক সেবা দিতে আমরা ব্যর্থ হব।

এবিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মোজাহারুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন. এমন ঘটনা আমি শুনেছি। এমন ঘটনা যেন,আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য আমি আজও সকল পুলিশ সদস্যগণকে ডেকে সর্তক করে দিব।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো,তমাল হোসেন বলেন, এটি একটি দুঃখজনক বিষয়। অবিলম্বে এবিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও দেখুন

রাণীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে  ১৫ভরি স্বর্ণের ও 

১০০ভরি চান্দির গহনা ছিনতাই নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,,  নওগাঁর রাণীনগরে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার  পথে পথ …