নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া:
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি একই দিনে দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি অনুমোদন দিয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। দুই পক্ষের অনুমোদনকৃত কমিটির প্রেস রিলিজেই উল্লেখ রয়েছে জেলা বিএনপির নির্দেশক্রমে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ই মার্চ) বিকেলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড. মজিবর রহমান মন্টু ও সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদ সাক্ষরিত পত্রে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। রাতে উপজেলা বিএনপির চারজন যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু, এড. ইউসুফ আলী, শরিফুল ইসলাম বুলবুল ও শাহাদৎ হোসেন সাক্ষরে ১২টি ইউনিয়নের আরেকটি কমিটির অনুমোদন দেয়। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের মাঝে জেলা বিএনপির প্রতি ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতারা জানান, পাল্টাপাল্টি কমিটির বিষয়ে জেলা বিএনপি তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে কালক্ষেপন করছে। এতে করে নেতৃবৃন্দ ও কর্মী-সমর্থকরা বিব্রত বোধ করছে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী কমিটির অনুমোদন দেয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সকল নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শক্রমে আমরা কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। কমিটিতে ত্যাগী ও নির্যাতিতদের রাখা হয়েছে যাতে সাংগঠনিত তৎপরতা বৃদ্ধি পায় এবং দল শক্তিশালী হয়।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদনপত্রে উল্লেখ ছিল আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও যুগ্ম আহ্বায়কদের সাক্ষরে ইউনিয়ন কমিটি হবে। কিন্তু যুগ্ম আহ্বায়কদের না জানিয়ে কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে তাই দ্বিমত পোষণ করে আমরাও কমিটি দিয়েছি।
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব সাক্ষরিত কমিটি কার্যকর হবে। অন্যথায় যুগ্ম আহ্বায়কবৃন্দ সাক্ষরিত কমিটি কার্যকর হবেনা। যুগ্ম আহ্বায়করা কমিটি দিতে পারেনা। তাদের কমিটি গ্রহণযোগ্য হবেনা।