নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুঃসময়ে মানবিক দায়িত্বে নিয়োজিত পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে যেখানে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করা মরদেহ দাফনে অনেকে কুণ্ঠাবোধ করেন। সেখানে অজ্ঞাত মরদেহ দাফনের দায়িত্বে থাকেন কাউন্সিলর ফরহাদ। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের স্টেশন বাজার এলাকায় নাহার ক্লিনিক এর সামনে এক অজ্ঞাত মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সবাই দেখলেও কেউ এগিয়ে আসেনি তার সৎকার করার জন্য। এরইমধ্যে ফরহাদ হোসেন এগিয়ে আসেন এই মরদেহ দাফনের দায়িত্ব নিয়ে। এমনকি আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামকে খবর দিলেও তারা এগিয়ে আসেনি এই মরদেহ সৎকার করার জন্য।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন জানান, মেয়র উমা চৌধুরীর নির্দেশে তিনি এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, পাগল হোক, ভিক্ষুক হোক তারাও তো মানুষ তাদেরও সুন্দর দাফনের অধিকার আছে। কেউ না করলেও আমি যখনই খবর পাই তখনই চেষ্টা করি সাধ্যমত।
উল্লেখ্য এর আগেও এপ্রিল মাসের দিকে নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের গেটে একটি মরদেহ পড়েছিল। সেই মরদেহ মেয়র উমা চৌধুরী জলি ফোন করে কাউন্সিলর ফরহাদকে নির্দেশ দেন দাফনের জন্য। সেখানেও নিঃসংকোচে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ দাফন করেন কাউন্সিলর ফরহাদ। সে সময় এ বিষয়টি টক অফ দ্য টাউন এ পরিণত হয়।