নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর কলাবাগানে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত দিহানের মা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিলেন। দিহানের মা বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কারণে তারেক রহমানের সাথে ঘনিষ্ঠতার এই সুযোগ পেয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানান।২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে দিহানের বাবা আব্দুর রউফ সরকার অঢেল সম্পদের মালিক হন। খোদ বিএনপির নেতারাও তাদেরকে সমীহ করে চলতেন বলে তথ্য জানায় প্রতিবেশীরা।দিহানের বাবা আবদুর রউফ বিএনপি শাসনামলে সরকারি চাকুরীরত থাকাকালে কিনেছেন দেড়শো বিঘারও বেশি জমি। রাজশাহী শহরের অভিজাত দুই এলাকায় দুটি সুউচ্চ ভবনসহ নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় রয়েছে তার। পরিবারটির নানামুখী প্রভাবের কারণে মুখ খুলতেও ভীত এলাকাবাসী।রাজশাহীর দুর্গাপুর রাতুগ্রামের বাসিন্দা রাজধানীর কলাবাগানে শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত দিহানের বাবা আব্দুর রউফ সরকার। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দিহানের বাবার সকল দুর্নীতির ফিরিস্তি উঠে আসলে তিনি কোনঠাসা হয়ে পড়েন। জেলা রেজিস্ট্রারের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসরও নেন।পৈতৃক সম্পত্তি ছাড়াও চাকরিকালীন দুর্গাপুরের কিসমত গণকৈড়, পুঠিয়ার তাহেরপুর, নওগাঁর আত্রাইসহ বিভিন্ন স্থানে কেনেন অঢেল জমি। ভূমি অফিসের তথ্য মতে, শুধুমাত্র রাতুগ্রাম মোজায় আছে ৭৮ বিঘা জমি। আছে পুকুর, খামার, ফসলি জমিসহ গ্রামের আলিশান বাড়ি। পাশাপাশি রাজশাহী নগরীর পদ্মা আবাসিক, সাগরপাড়ায় কেনেন জমিসহ দুটি ভবন।গ্রামের লোকদের অভিযোগ দিহানের মা বগুড়ার মেয়ে শিল্পী বেগমের ঘনিষ্ঠতা ছিলো বিএনপির তারেক রহমানের সাথে। মূলত তার প্রভাব খাটিয়েই করেন এই অঢেল সম্পদ। তবে দিহানের বড়ভাই সুপ্তের ভয়ে ক্যামেরায় কথা বলতে চাননি অনেকে।এলাকাবাসী জানান, তাদের চরিত্র ভালো নয়। এর আগেও নারীঘটিত ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়াও গরীব মানুষদের মামলা ও মোকদ্দমা নিয়ে ফাঁদে ফেলেন। তাই ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ অনেকেই।মূলত অঢেল সম্পদের কারণে বেপরোয়া হয়ে ওঠে দিহান। বাবা-মায়ের প্রকাশ্য প্রশ্রয়ে সে দিনকে দিন অপরাধের দিকে ঝুঁকতে থাকে। হয়তো কলাবাগানের ধর্ষণ ও খুনের ব্যাপারটি প্রকাশ্যে না এলে এই পরিবারের এসব অপকর্মের খবর কখনোই প্রকাশিত হতো না।