নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পৌর শহরের ভরার গাঁও-গ্রামের স্ত্রীর লোকজনের হাতে শারীরিক লাঞ্ছিত হয়েছেন এক স্বামী।
জানা যায় ভরারগাও গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে মুক্তামালার বিবাহ হয় দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের হারুন অর রশীদের পুত্র নূরুল আমীনের সাথে। মাসুক মিয়ার মেয়ে মুক্তামালার একাধিক পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারণে তার স্বামী মুক্তা মালার সাথে মনোমালিন্যতা সৃষ্টি হয়। এ বিষয় নিয়ে স্বামী নূরুল আমীন মুখ খুললে মুক্তা মালা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে স্বামীর বাড়ী থেকে বাবার বাড়ীতে আসেন।
মুক্তামালার পিতার পক্ষের লোকজন মুক্তামালাকে স্বামীর বাড়ীতে নিয়ে যেতে নুরুল আমীনের লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। স্বামীর নূরুল আমীনের বাবা অসহায় থাকায় প্রভাবশালী মুক্তামালার বাবার বাড়ীর লোকজনের চাপে গত ০৮ -ই জুলাই বুধবার স্বামী নুরুল আমিন স্ত্রী মুক্তা মালাকে নিতে ভরার গাঁও গ্রামে আসেন। তিনি তার শশুরের ঘরে প্রবেশ করতে না করতেই উৎ পেতে থাকা মুক্তামালার ভাই কামরুল ইসলাম ও তার চাচাতো ভাই সাবেক কাউন্সিলর মন্নান মিয়ার পুত্র আমির হুসেন সহ কয়েজন সুটাম দেহের অধীকারী দাঙ্গাবাজ মুক্তামালার স্বামী নুরুল আমীনকে বেধড়ক মারধর করেন। তিনি এই সন্ত্রাসীদের আঘাত সইতে না পেরে গুরুতর আহত হয় ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত নুরুল আমিনের শুর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে নুরুল আমিনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
গুরুত্বর আহত নুরুল আমীন জানান,আমি একজন অসহায় মানুষ আমি ভরারগাও গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে মুক্তামালাকে বিবাহ করার পর থেকে তার বাবার বাড়ির লোকদের নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমার স্ত্রী মুক্তামালা একাধিক পরকীয়া প্রেম করে বেড়াচ্ছে। আমার স্ত্রীর সাথে এই বিষয় নিয়ে আমার মনের অমিল থাকলে ওরা আমাকে তাদের বাড়ীতে আসার খবর দেন। আমি গত বুধবারব তাদের বাড়ীতে আসলে কামরুল ও আমির হুসেন সহ কয়েজন আমাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে মারপিট করে । আমার অবস্থা খুবই নাজুক । আমি প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি উপরোক্ত বিষয়টি খতিয়ে ওদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার গ্রহনের।