নিউজ ডেস্কঃ
সাহাদুল্লা শেখ ও হাসিবুল শেখের কাছে নতুন বছর যেন হাতে করে সুখের বার্তা নিয়ে এলো। কারণ, ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনেই লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুর্শিদাবাদের বড়োঞাতে। গ্রাম সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা। গ্রামে ছোট একটা কাপড়ের দোকান আছে হাসিবুলের। সাহাদুল্লা হতদরিদ্র, দিন এনে দিন খাওয়া অবস্থা। তার ওপর দুই বছর আগে তার ছেলে দুর্ঘটনায় মারা গেছে। ফলে তেমন কাজও করতেন না সাহাদুল্লা। কিন্তু লটারির টিকিট কেনার নেশা ছিল তার। তাই হাতে টাকা এলেই টিকিট কিনে ফেলতেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার সকালে বাহাদুরপুরে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন সাহাদুল্লা। হাসিবুলও তার সঙ্গে ছিলেন। এ সময় লটারি বিক্রেতা রতন এসে টিকিট কাটার কথা বললে সাহাদুল্লা জানান, তার কাছে কোনো টাকা নেই। হাসিবুল তখন বলেন, ‘চাচা, চলো দুজনেই একসঙ্গে টিকিট কাটি। ফিফটি-ফিফটি শেয়ার।’ এভাবে মোট ৩০০ টাকার টিকিট কাটেন তারা। এবার সন্ধ্যা হওয়ার অপেক্ষায় দুজন।
এরই মধ্যে হাসিবুল খবর পান তাদের টিকিটের নম্বরে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসিবুল নম্বর মিলিয়ে যান সাহাদুল্লার বাড়ি। হঠাৎ কোটিপতি হয়ে উচ্ছ্বসিত দুজনেই। নতুন বছরে প্রত্যন্ত এক গ্রামের দুজন কোটিপতি হওয়ায় এলাকায় লটারির টিকিট কাটার ধুম পড়ে গেছে।
লটারির খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধ সাহাদুল্লা। তিনি বলেন, ‘আজ যদি আমার ছেলেটা বেঁচে থাকতো! তবে জীবনটা তো বদলে যাবে।’
হাসিবুল বলেন, ‘দোকানটা আরও বড় করব। আর টাকাটা দুজনেই ভাগ করে নেব।’
নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করে নিতে রাজ্যজুড়ে এখন সরকারি-বেসরকারি লটারির টিকিট বিক্রি চলছে ধুমছে। বছর খানেক আগে খড়গ্রামের দুজন পেয়েছিলেন সিকিম সরকারের ৫ কোটি টাকা। সাহাদুল্লা হাসিবুল যেমন ভাগাভাগি করে টিকিট কেটেছিলেন, তেমনই খড়গ্রামের দুজনও ৫০০ টাকার টিকিট কেটেছিলেন ২৫০ টাকা করে। তখনও ওই এলাকায় লটারির টিকিট কেনার বিক্রি বেড়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল হতে না হতেই গ্রামে সাহাদুল্লা ও হাসিবুলের কোটিপতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর লটারির টিকিট কেনার হিড়িক পড়ে যায়।