নিউজ ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের মহামারী প্রতিরোধে আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে গণটিকাদান শুরু হবে। এখন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। ইউপিপর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম চালু হলে দিনে ১০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে বলে আশা করছে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, যারা ইউপি কেন্দ্র থেকে টিকা নেবেন, তাদের এর জন্য নিবন্ধন না করলেও চলবে। তবে যারা সুরক্ষা অ্যাপে গিয়ে নিবন্ধন করবেন, তারাও টিকা নিতে পারবেন। যারা নিবন্ধন করেও এসএমএস
পাবেন না, তারা নিবন্ধন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে হাজির হলেই টিকা প্রদান করা হবে। এই টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সাত হাজার ৩৪৪টি টিম গঠন করে রেখেছে সরকার। প্রতিটি টিমে দুজন নার্স বা পরিবার-পরিকল্পনাকর্মীর সঙ্গে চারজন স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে। প্রতিটি টিম সর্বোচ্চ ১৫০ জনকে টিকা দিতে পারবে।
সারাদেশে চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। জানা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি ইউপিতে একটি করে টিকাদান কেন্দ্র চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে। বর্তমানে ঢাকাসহ সারাদেশে এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে দুই হাজার ৪০০ টিম টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব টিমের একদিনে তিন লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে চার হাজার ৫৭১টি ইউপি সেন্টার, যেখানে দিনে আরও ৬ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ টিকা দেওয়া সম্ভব। সব মিলিয়ে দিনে ১০ লাখের বেশি টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এনসিডিসি) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে ইউপি পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। সেখানে টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে নিবন্ধনকরণ ও নিবন্ধন ছাড়া দুটো অপশনই থাকবে। যারা নিবন্ধন করবেন, তারা এমএমএস পেয়ে যাবেন এবং সেন্টারে গিয়ে টিকা নেবেন। যারা নিবন্ধন করতে পারবেন না, তারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সেন্টারে গেলেই টিকা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ইউপি পর্যায়ে একটি করে টিকা কেন্দ্র চালু করা হবে, প্রয়োজন হলে পরে বাড়বে। কেন্দ্রগুলোতে ইপিআই, পরিবার-পরিকল্পনা কর্মী ও কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডাররা (সিএইচপি) টিকাদান কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন। ইউপি কেন্দ্রগুলো চালু হলে ১০ দিনে অন্তত এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।