নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোর সদরের দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ৩নং পশ্চিম হাগুরিয়ায় জুম্মার নামাজে মুসুল্লির সংখ্যা নিয়ে হাঙ্গামার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপস্থিত গ্রামবাসীকে যার যার বাড়িতে চলে যেতে বললে এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষে বেধে যায়। এসময় ৪ পুলিশ সদস্য সহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্য সহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর পুুরুষশূন্য হয়ে পড়ে পুরো এলাকা।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিলে পশ্চিম হাগুরিয়া মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুস সামাদ জানান, শুক্রবার জুমার নামাজে আমাদের ইমাম সাহেব শাহ আলম সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১২ জন মুসল্লি নিয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। বাইরেও অনেকে ব্যক্তিগত জায়নামাজ নিয়ে এসে নামাজে দাঁড়িয়েছিল। নামাজের শেষ দিকে হঠাৎ করে এলাকারই ছেলে শাহীনসহ আরো কয়েকজন মসজিদে ঢুকে ইমাম সাহেবকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে বলতে থাকে নিয়ম না মেনে কেন নামাজ পড়ানো হলো। এসময় সে ইমামের গায়ে হাত তোলে বলে নারদবার্তাকে জানান মোয়াজ্জিন সামাদ। ইমামের উপর চড়াও হলে মুসুল্লিরা উত্তেজিত হয়ে শাহীনকে মারপিট করে। এ ঘটনায় শাহিন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তৎক্ষণাৎ উত্তেজনা থামাতে সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাদিরুজ্জামান মৃধা ওরফে নাদিম সেখানে উপস্থিত হয়।
সামাদ আরও জানান, পুলিশ সেখানে উপস্থিত নাদিম মেম্বারসহ গ্রামের নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে বেধড়ক লাঠিপেটা করতে থাকলে গ্রামবাসীও বিচ্ছিন্নভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট পাটকেল ও লাঠি দিয়ে পাল্টা আক্রমন করে।
এতে এক নারী কনস্টেবল ও পুলিশ পরিদর্শকসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতরা হলেন, পুলিশ পরিদর্শক আজহার ইসলাম কনস্টেবল সেকান্দার আলী ও নারী কনস্টেবল মঞ্জু। পরে এ ঘটনায় ইউপি সদস্য নাদিরুজ্জামান মৃধা ওরফে নাদিমসহ ৯ জনকে আটক করে।
এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত ঘটনাস্থলে যান। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছ। বর্তমানে জড়িতদের ধরতে এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের অভিযানের ফলে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পুরে পশ্চিম হাগুরিয়া।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন, জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।