করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় নতুনটি চারটিসহ মোট পাঁচটি প্যাকেজে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, সকলের কষ্ট লাঘব করা আমাদের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব নিয়েই আমরা আজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। এর সুফলটা আশা করি সকলেই পাবে। কিন্তু এর সুযোগ নিয়ে কেউ যেন কোনো ধরনের দুর্নীতি, কোনো অনিয়ম বা কোনো অপব্যবহার না করেন। আমার সোজা কথা-কেউ এর সুযোগ নিয়ে এর অপব্যবহার করবেন না।
রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা শেষে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব উত্তরণে আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানোসহ চারটি কার্যক্রম নিয়ে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তাৎক্ষণিক, স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদি-এ তিন পর্যায়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চারটি কার্যক্রম নিয়ে এ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারি তাহলে কোনো সেকশনের মানুষই, যে যে সেকশনে কাজ করেন, কেউই অসুবিধায় পড়বেন না।
তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ থেকে আমার কাছে নানা রকমের তথ্য আসছিল। অনেকে খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বিশেষ করে যারা ছোট ছোট ব্যবসা-বাণিজ্য জড়িত। কৃষি-কামার, কুমার-জেলে, তাঁতী, পোল্ট্রি-মৎস্য, ডেইরি বিভিন্ন ব্যবসায় যারা জড়িত, তারা বেশ সমস্যায় পড়ে গেছেন বলে মনে করছেন। তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বিশেষ করে ঋণ নিয়ে, বিভিন্ন ধরনের বিল নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন।’
‘আমি মনে করি আজকে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণের কথা আমরা জানিয়েছি তা বাস্তবায়ন করা গেলে ভবিষ্যতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। যাতে করে তাদের ব্যবসা-কর্ম খুব ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারেন। আমি চাই না কেউ কষ্ট করুক।‘
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আজকের একটা অদ্ভূত ধরনের আয়োজন হয়ে গেল। বলে যাচ্ছি কিন্তু কোনো সাংবাদিক নেই।’
শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের বক্তব্য শেষ করেন।