নিউজ ডেস্ক:
সন্তান-সন্ততি নিয়ে দালান ঘরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করলো ৩৪০টি দরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবার। দালান ঘরে ঈদ করা ছিল তাদের কাছে আকাশ কুসুম কল্পনা। সেই সুযোগ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন তারা।
ঘর পাওয়া দরিদ্র ও ভূমিহীন মানুষের মাঝে ঈদ আনন্দ ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে। বাথরুম-রান্নাঘরসহ দুই কক্ষের বাসা যেন উপকারভোগী একেক পরিবারের কাছে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো।
সরেজমিন ঈদের দিন বিকেলে উপজেলার বেগমপুর গ্রামে প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে ঘর পাওয়া উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এসব চিত্র উঠে এসেছে। এই গ্রামে ৬৭টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন।
এসময় উপকারভোগী খাদিজা খাতুন উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, সন্তান-সন্ততি নিয়ে দালান ঘরে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবো এ যেন ছিল তাদের কাছে আকাশ কুসুম কল্পনা। সেই সুযোগ করে দেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।
উপকারভোগী আবু বক্কার সিদ্দিকী বলেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় কায়িক পরিশ্রম তেমন করতে পারেন না। বরাদ্দের দুই কক্ষের মধ্যে একটিতে দোকান দিয়েছেন, আরেকটিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। রোজা শুরুর কয়েকদিন আগে এখানে আসার জন্য নতুন রাস্তা (ইটের সোলিং) করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তা না হলে তাদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হতো। এজন্য তারা আরও একবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তবে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই তাদের ঘরগুলোতে পানি উঠছে। পাশের জমি ব্যক্তি মালিকানায় থাকায় পানি ওই জমিতে পানি পড়তে বাধা দিচ্ছেন তারা (জমি মালিক)। এ সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
৮শ শ্রেণিতে পড়ুয়া রিক্তা বলেন, তারা এবারই প্রথম নতুন ঘরে উঠে ঈদ করছেন। নতুন ঘরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে রিক্তা বেজায় খুশি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, উপজেলায় তিন ধাপে মোট ৩৪০টি দরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের এসব ঘর হস্তান্তর হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় ধাপে ঘর নির্মাণ বাবদ বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। প্রথম ধাপে এক লাখ ৭০ হাজার এবং দ্বিতীয় ধাপে এক লাখ ৯০ হাজার টাকায় ঘর নির্মাণ হয়েছিল।
ঘরগুলোতে পানি উঠার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, উপকারভোগীদের এসব সমস্যা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।