নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী শাহনেওয়াজ আলীা পক্ষে কাজ করার লক্ষ্যে পৌর যুবলীগের বিশেষ বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বিকাল ৪ টায় চাঁচকৈড় বাজারস্থ দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভায় নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার আহব্বান জানানো হয়। বিরোধীতার প্রমান পেলে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের কথা স্বরন করিয়ে দেয়া হয়।
বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব। তিনি জানান,বর্ধিত সভায় স্থানিয় সংসদকে আমন্ত্রন জানানো হলেও তিনি অনুপস্থিত। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
তিনি জানান,শুধু যুবলীগ নয়, দলের পদ পদবী ব্যবহার করছেন এমন কেই দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তিনি স্থায়ীভাবে বহিস্কার হবেন। এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। নির্দেশনা না মানলে তাদের মাঠে দাঁড়াতে দেয়া হবে না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-আ.লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা। জেলা আ.লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, পৌর আ.লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম,উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল বারী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহম্মদ আলী মোল্লা, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আতিকুর রহমান ভুলু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাসেদ প্রমুখ।
গুরুদাসপুর পৌর যুবলীগ ওই বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন তাহের সোনার। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিলন।
উল্লেখ্য পৌর নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে আরও তিন জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা শাখার সভাপতি আতিয়ার রহমান বাঁধন।
প্রার্থী হয়েছেন নবগঠিত(অ-অনুমোদনকৃত)পৌর আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চক্ষু চিকিৎসক মোহাম্মদ আলী।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার দিয়েছেন ৭ মেয়রপ্রার্থী। প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। ভোট গ্রহন ১৬ জানুয়ারি।