নিউজ ডেস্ক:
বাকি আর মাত্র ১৮ দিন। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এ নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে রয়েছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। এই সেতু কেন্দ্র করে দেশের অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন-পদ্মা সেতু চালু হলে জাতীয় অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত হবে দক্ষিণ বাংলার অর্থনীতি। দক্ষিণাঞ্চল ঘিরে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। বাড়বে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। সার্বিক এসব কর্মকাণ্ডে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি হবে।
বৃহস্পতিবার বিদেশি বিনিয়োগের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৩৮৮ কোটি ২০ লাখ (৩.৮৮ বিলিয়ন) ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই ১০ মাসে ২৮১ কোটি ১০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩২৩ কোটি ৩০ লাখ (৩.২৩ বিলিয়ন) ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল। নিট বিনিয়োগের অঙ্ক ছিল ১২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল দেশে। এর মধ্যে নিট এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ২৬৩ কোটি ডলার।
জানা যায়, যমুনার ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের এই সেতু উত্তরের জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ সহজ করে। ফলে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া বা রংপুরের কৃষক সকালে খেত থেকে যে সবজি তোলেন, মধ্যরাতে তা ঢাকায় পৌঁছায়। রাজশাহীর মৎস্যচাষিদের তাজা মাছ রাজধানীর বাজারে বাজারে বিক্রি হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে উত্তরের মতো ফসলের বাড়তি দাম পাওয়া যাবে বলে মনে করেন দক্ষিণের কৃষকরা। তাদের এই আশার দিকটি উঠে এসেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক সমীক্ষায়।