শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জনদুর্ভোগ / “তেরো কিলোমিটার রাস্তায় তেরো হাজার গর্ত”

“তেরো কিলোমিটার রাস্তায় তেরো হাজার গর্ত”

বিশেষ প্রতিবেদক:
নাটোর শহর থেকে নলডাঙ্গা উপজেলার দূরত্ব প্রায় তেরো কিলোমিটার। এই তেরো কিলোমিটার যাত্রা পথ এখন জনগনের অভিশাপে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তার সংস্কার মেরামত না করার ফলে অধিকাংশ জায়গা পরিণত হয়েছে মৃত্যু ফাঁদে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমছে। চলাচলে ঝুঁকি বৃদ্ধি, অধিক সময়, নিয়মিত দূর্ঘটনা থেকে শুরু করে যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি সব হচ্ছে শুধু রাস্তা ঠিক হচ্ছে না। মানুষ জন এখন চেষ্টা করছে বিকল্প পথ ব্যবহারের।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় নাটোর নলডাঙ্গা রাস্তায় চলাচলে নিয়মিত যাত্রী ও গাড়ি চালকদের ভোগান্তি শেষ নেই। অভিযোগ এখন ক্ষোভ ও হতাশায় পরিণত হয়েছে নাটোর নলডাঙ্গার রাস্তায় চলাচলকারী মানুষজনদের। নলডাঙ্গাতে হাট বসে সপ্তাহে দুইদিন। বিভিন্ন স্থান থেকে হাটে লোকজন আসেন। পণ্যবাহী ট্রাক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের ভারী যানবাহন চলাচল করে ভাঙ্গা রাস্তায় বাড়ছে দূর্ঘটনা। পাশাপাশি এই রাস্তায় প্রতিদিন কয়েক’শ সিএনজি, অটোতে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। অথচ নির্বাক নিশ্চুপ কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় রাস্তা তৈরী বা সংস্কার হওয়ার পর থেকে আর কেউ খবর নেয়না রাস্তা কি অবস্থাতে আছে। এই রাস্তায় চলাচলকারী নিয়মিত যাত্রী রানা বলেন, নাটোর নলডাঙ্গা রাস্তায় একবার যাতায়াত করলে পরের দিন পুরো শরীর ব্যাথা হয়ে যায়। এছাড়া নিয়মিত দূর্ঘটনা তো আছেই।

অটো চালক বাবু জানান, রাস্তার যে বেহালদশা সেদিকে কারও কোন খেয়াল নেই। আমরা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে গেলে বুঝতে পারি কতটা কষ্ট হয়। কত বড় মানুষেরা যাতায়াত করেন এই রাস্তা দিয়ে তারা ইচ্ছা করলেই পারে রাস্তা ঠিক করতে কিন্তু করেনা।

সিএনজি চালক বল্টু বলেন, এই তেরো কিলোমিটার রাস্তায় মনে হয় তেরো হাজার গর্ত আছে। আগে যেখানে পঁচিশ মিনিটে নাটোর থেকে নলডাঙ্গা পৌঁছানো যেত এখন সেখানে সময় লাগে প্রায় চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ মিনিট। অনেক যাত্রী এই রাস্তা বাদ দিয়ে বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করা শুরু করার ফলে আমাদের যাত্রী সংখ্যাও কিছুটা কমেছে।

দুর্ভোগের অপর নাম যেন নাটোর নলডাঙ্গা প্রধান সড়ক। কবে সংস্কার করা হবে এই রাস্তা এ বিষয়ে নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী নওয়াজিস রহমান বিশ্বাস কে বারবার তার মুঠোফোনে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই রাস্তাটি অতি দ্রুত ঠিক করা প্রয়োজন। এ জন্য আমি সড়ক বিভাগের সঙ্গে কথাও বলেছি। রাস্তাটি ঠিক করে জনগণের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব করতে আমি নিজেও চেষ্ট করছি। আশা করছি দ্রুতই রাস্তার কাজ শুরু হবে।

রাস্তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোন অনীহা রয়েছি কি নাকি অন্য কোন কারণ আছে সেটি তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে সড়ক বিভাগ নাকি বর্ষাকালের পরে কাজ শুরু করবেন। দুর্ভোগে থাকা জনসাধারণের চাতকের মত চেয়ে থাকা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।

আরও দেখুন

বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …