শুক্রবার , ডিসেম্বর ২৭ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / তেজগাঁওয়ে টেলিকম টাওয়ার তৈরি করবে বিটিসিএল

তেজগাঁওয়ে টেলিকম টাওয়ার তৈরি করবে বিটিসিএল

নিউজ ডেস্ক:
দেশের টেলিকম খাতের বিভিন্ন সংস্থাকে একই ছাদের নিচে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। ছোট টেলিকম ব্যবসায়ীরাও এ সুবিধা নিতে পারবেন। এ জন্য টেলিকম টাওয়ার নির্মাণ করবে বিটিসিএল। বিটিসিএল বলছে, এটি হবে দেশের প্রথম টেলিকম টাওয়ার।

প্রায় চার একর জায়গায় টেলিকম টাওয়ারটি তৈরি করবে বিটিসিএল। সংস্থাটির তথ্যানুসারে, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের পাশে নিজস্ব জমিতে এই টাওয়ার হবে। নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭২ কোটি টাকা। টাওয়ার নির্মাণের অর্থায়ন বিটিসিএলই করবে। সম্প্রতি এ টাওয়ারের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনও পেয়েছে তারা। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়ার কথা আছে।

বিজ্ঞাপন

বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, দেশে অনেক টেলিকম প্রতিষ্ঠান আছে, যারা জায়গা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। বিশেষ করে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়েসহ (আইআইজি) টেলিকম খাতের ছোট ব্যবসায়ীদের এ টাওয়ারে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে। এতে অবকাঠামোগত সুবিধাসহ, নিরাপত্তার ব্যবস্থাও থাকবে। একই ছাতার নিচে সংস্থাগুলো আনতে পারলে তাদের ব্যবসার খরচ কমে যাবে, কানেকটিভিটি সহজ হবে। টেলিকম খাতের ব্যবসায়িক খরচ কমলে এর সুফল গ্রাহক পর্যায়েও পড়ে বলে দাবি করেন তিনি।

পরামর্শক নিয়োগপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। ২০২৭ সাল নাগাদ তা শেষ হওয়ার আশা করছে বিটিসিএল। আয়ের উৎস বাড়াতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে টাওয়ারটি নির্মাণ করছে সংস্থাটি। টেলিকম খাতের পাশাপাশি অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকেও জায়গা ভাড়া দেওয়া হবে।

যেসব টেলিকম খাতকে মাথায় রেখে প্রকল্পটি করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয় রফিকুল মতিনের কাছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ কেব্‌ল শিল্প লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানি লিমিটেড, টেলিটক, টেলিফোন শিল্প সংস্থার মতো প্রতিষ্ঠানের অফিস থাকবে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে টাওয়ারের পূর্ণ নকশা কাঠামো নিয়ে কথা বলবেন তাঁরা।

টেলকো খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আপাতত উদ্যোগটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তবে এর পরিচালনপদ্ধতি তৃতীয় পক্ষের কাছে না রেখে সরাসরি বিটিসিএলের হাতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। নয়তো যাদের জন্য এটি করা হচ্ছে, তারা এখানে জায়গা পাবে না।

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এটা যেন কোনো একটা গ্রুপের কাছে জিম্মি না হয়। এর জন্য নীতিমালা করলে ভালো হবে। এতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার হবে এবং ব্যবসায়ীদের খরচও কমবে।

আইএসপিএবি সভাপতি আরও বলেন, এই উদ্যোগের সঙ্গে কাজ করতে হলে অ্যাকটিভ শেয়ারিং অনুমতির বিষয় আছে। কোনো এক প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য কোনো জায়গায় যে পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) বসাবে, তার পুরোটা হয়তো সে ব্যবহার করছে না। একই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আরেক অপারেটরও সেবা দিতে পারে। তবে এর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অনুমোদন নেই।

এ অনুমোদন থাকলে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের পুরো অবকাঠামো বসানোর প্রয়োজন হয় না। খরচ কমে যায়। ফলে সেবাও ভালো দেওয়া যায়। বিটিসিএলের টাওয়ারে যদি এই অনুমতি থাকে, তাহলে উদ্দেশ্য অনেকটা সফল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও দেখুন

বাগাতিপাড়ায় আগুনে পোড়া তিন পরিবার পেল সহায়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক বাগাতিপাড়া,,,,,,,,,,,,,নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে …