নিজস্ব প্রতিবেদক,বড়াইগ্রাম:
নাটোরের বড়াইগ্রামে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার তিরাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা
এ ঘটনা ঘটে। রোবাবার ওই ছাত্রী বড় ভাই মাদ্রাসা সুপারয়েন্টে ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মাদ্রাসা সূত্র জানাযায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় সপ্তম শ্রেনীর পাঠদান করাছিলেন সহকারী শিক্ষিকা রোজুফা খাতুন। তার চার বছরের একটি বাচ্চা নিয়ে মাদ্রাসায় আসেন। ক্লাস চলাবস্থায় রোদে দাড়িয়ে কাঁদতে ছিল সেই বাচ্চা। ওই ছাত্রী তাকে রোদ থেকে চলে আসতে বললে সে আরো কাঁদতে থাকে। তখন সহকারী শিক্ষিকা এসে ছাত্রীকে বেত দিয়ে মারপিট করে।
ওই ছাত্রী বলেন, আসি মারপিটের কারন জানতে চাইলে শিক্ষিকা বলেন তুই আমার বাচ্চাকে মারছিস তাই তোকে আমি মারছি। ছোট বাচ্চাকে সবাইতো আদর করে।
ছাত্রীর বড় ভাই বলেন, আমাদের বাবা মা কেউ নেই। আমার এই এতিম বোনকে বিনা দোষে মারপিট করা হল। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
ওই ছাত্রীর চার বান্ধবী বলেন, শিক্ষিকার বাচ্চাকে মারপিট করে নাই। উল্টো বিনা দোসে আমাদের সামনেই শিক্ষিকা ওই ছাত্রীকে মারপিট করেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা রোজুফা খাতুন বলেন, আমার ছোট মেয়েকে বিরক্ত করতে ছিল। আমি ক্লাশে বাঁশের কঞ্চির বেত নিয়ে যাওয়া সময় একটা বাড়ি দিয়েছি।
সহকারী শিক্ষক রোমজান আলী বলেন, এই শিক্ষক সব সমই এরকম আচরন করে। দুইমাস আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে ছিল। সুপার তখন মৌখিক ভাবে সতর্ক করেছিল।
মাদ্রাসার সুপারেন্টেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) কুদ্দরত উল্লাহ বলেন, আমি মাদ্রাসায় ছিলাম না। পরে এসে জেনেছি। বিষয়টি শিক্ষা অফিসার জানানো হয়েছে। তার সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আগামী মাদ্রাসার মিটিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে মারধর কিংবা মানসিকভাবে আঘাত করার কোনো সুযোগ নেই। মাদ্রাসার সুপারকে পরিচালনা কমিটির সভাপতির সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করতে বলা হয়েছে। তারা ব্যার্থ হলে কঠোর প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।