নিউজ ডেস্ক:
প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে পেঁয়াজ নিয়ে এ বন্দর দিয়ে ঢুকেছে ১৩৭টি ট্র্রাক। এসব ট্র্রাকে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ২৯১ মেট্র্রিক টন পেঁয়াজ। এ ছাড়া ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে আরও পেঁয়াজের ট্র্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় দেশীয় বাজারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। দুদিন আগে সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি দোকানে যে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪৩ থেকে ৪৪ ট্রাকা, বুধবার তা বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। এক বস্তা নিলে প্রতিকেজির দাম পড়ছে ৩৭ ট্রাকা। দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
সুলতানপুর বড়বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মুকুল জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম পড়তে শুরু করেছে। ২০-২৫ দিন আগে আমরা দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি করেছি ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। দ্রুত তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৪৩-৪৪ টাকায়। বুধবার পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে। পুরো বস্তা ৩৭ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও কমবে বলে জানান তিনি।
ভোমরা বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আমির হামজা বলেন, প্রায় আড়াই মাস পর পুনরায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বাজারে এসব পেঁয়াজ পৌঁছে গেছে। দামও কমতে শুরু করেছে। দুয়েকদিনের মধ্যে দাম আরও কমে যাবে।
ভোমরা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত স্থলবন্দরের হিসাব অনুযায়ী ১৩৭ ট্রাক (প্রায় ৩২৯১ মেট্র্রিক ট্রন) ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে আরও পেঁয়াজের ট্র্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, সোমবার থেকে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। দেশি বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।