নিউজ ডেস্ক :
জাতীয় তামাক করনীতি প্রণয়ন ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের ওপর তামাকের আগ্রাসন রুখতে পরিবারভিত্তিক সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এ লক্ষ্য পূরণে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সেবন– তিনটিই পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ক্ষতি করে। ধূমপান ও তামাক সেবনে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ক্রনিক লাং ডিজিজসহ নানা অসংক্রামক রোগ দেখা দেয়। এ জন্য সবাই মিলে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিয়াউদ্দীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা’ তুলে দেন। এরপর তামাকবিরোধী মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন তিনি।