বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ২৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / ঢেলে সাজানো হচ্ছে মাঠ প্রশাসন

ঢেলে সাজানো হচ্ছে মাঠ প্রশাসন

নিউজ ডেস্ক:
ডিসি পদে বড় পরিবর্তন শিগগিরই, প্রথম দফায় ঢাকা খুলনা রংপুর ময়মনসিংহ কুমিল্লা ফরিদপুরসহ ১৫-২০ জেলায় নতুন মুখ, তালিকার অধিকাংশই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সচিবদের পিএস ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত

তবে এবার ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা খুবই সতর্ক। কারণ চলতি বছর ৫ জানুয়ারি ১১ উপসচিবকে বিভিন্ন জেলায় ডিসি হিসেবে নিয়োগের পর ‘ছাত্রদল-সংশ্লিষ্টতার’ অভিযোগে তৎকালীন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-৪ শাখার উপসচিব নাফিসা আরেফীনের নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাকে নীলফামারীতে ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে মেহেরপুরে ডিসি পদে নিয়োগ পাওয়ার পর ছাত্রদল-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. শহিদুল ইসলামকেও পদায়ন করা হয়নি। এ ঘটনাগুলো বিবেচনায় নিয়ে ডিসি নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে কঠোর বার্তা দিয়েছে সরকারের শীর্ষ মহল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিসিরা নির্বাচনের সময় জেলা রিটার্নিং অফিসারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। যে-কোনো কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ থেকে শুরু করে বাতিল করার ক্ষমতা ডিসির হাতে ন্যস্ত থাকে। সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনী থাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা তথা ডিসিদের অধীনে। স্বাভাবিক সময়ে পুলিশ বাহিনী জেলায় স্বাধীনভাবে কাজ করলেও নির্বাচনের সময় তারা ডিসির কর্তৃত্ব মেনে চলে। ডিসিরা নির্বাচনের সময় সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করেন। এসব কারণে সব সরকারই তাদের নিজস্ব ছক অনুযায়ী নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাজিয়ে থাকে। একান্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত কর্মকর্তাদের এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, যারা মাঠ প্রশাসনে কাজ করেছেন তাদের জন্য ডিসির পদটি খুবই কাক্সিক্ষত। দীর্ঘদিন ধরে ফিটলিস্ট তৈরিতে কর্মকর্তাদের ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো খবর নিচ্ছিল। বিশেষ করে ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক রাজনৈতিক-সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এবার খুব কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা ছাত্রজীবনে কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সে বিষয়টিও সূক্ষ্মভাবে তদন্ত করা হয়েছে। নিরপেক্ষ কর্মকর্তারা নিজেদের অবস্থান বদলাতে সময় নেন না। তাই তাদের ওপর ভরসা করতে চায় না সরকার। এবারের ডিসি ফিটলিস্টে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাই ক্ষীণ। এদিকে ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়মিত চাকরি শেষে ছয়জন সচিব অবসরে যাচ্ছেন। এ সময়ের মধ্যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবেরও। ফলে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদসহ ছয় মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পদ খালি হচ্ছে। এসব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে ইতোমধ্যে কেউ কেউ দেনদরবার শুরু করেছেন বলে আভাস মিলেছে। তবে দেনদরবার ফলপ্রসূ হবে কি না তা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর। চুক্তিভিত্তিক না হলে নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে বিসিএস অষ্টম (১৯৮৬), নবম, দশম, একাদশ ও ত্রয়োদশ ব্যাচের উপযুক্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। সেমতে প্রশাসনের শীর্ষ পদ এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে চাকরিজীবনের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত এবং গ্রামের বাড়িসহ স্বজনদের রাজনৈতিক পরিচয়েরও (যদি থাকে) খবর নেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ছাত্রজীবনে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলোয় বদলি-পদায়ন করা হবে।

আরও দেখুন

বাগাতিপাড়ায় আগুনে পোড়া তিন পরিবার পেল সহায়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক বাগাতিপাড়া,,,,,,,,,,,,,নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে …