নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ঢাকা শহরের বৈদ্যুতিক তার আগামী চার বছরের মধ্যে ভূগর্ভস্থ করা হবে। ধানমণ্ডি এলাকায় তার ভূগর্ভস্থ করার কাজ চলমান রয়েছে। স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট মিটারসহ আধুনিক প্রযুক্তি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থপনায় সংযুক্ত করে এ খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আরো দৃঢ় করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিইউপি) আয়োজিত বিইউপি ক্যাম্পাসে পাঁচ কিলোওয়াট ভার্টিক্যাল উইন্ড টারবাইন ‘ওনুভা’ স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে নানাভাবে প্রণোদনা দিচ্ছে। বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দেশের ৯টি স্থানে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উইন্ড ম্যাপিং করা হয়েছে। বায়ুর বেগ ৫.৭৫ মিটার/ সেকেন্ড থেকে ৬.২৫ মিটার/সেকেন্ড বিবেচনায় ২০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বায়ু থেকে পাওয়া যেতে পারে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বর্জ্য থেকে ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে ৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে বিদ্যুৎ ক্রয় প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন আছে। সৌর বিদ্যুৎ থেকে ১৫৭০.৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায় অনুমোদন পেয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বর্তমানে ৬৫০.৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে, যার মধ্যে সোলার ৪১৬.৩৯, বায়ু ২.৯ ও জলবিদ্যুৎ ২৩০ মেগাওয়াট উল্লেখযোগ্য। তিনি এ সময় আশা ব্যক্ত করে বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নাবায়নযোগ্য জ্বালানিতে লক্ষণীয় সাফল্য দেখাবে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উত্তরোত্তর বড় হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইঞ্জিনিয়ার ও ব্যবস্থাপনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে এবং বাড়বে। বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল গবেষণার জন্য প্রকল্পভিত্তিক অর্থায়ন করে। বিইউপি ক্যাম্পাসে ৫ কিলোওয়াট ভার্টিক্যাল উইন্ড টারবাইন স্থাপন বা এ ধরনের উদ্ভাবনমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের সহযোগিতা চাওয়া যেতে পারে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের (বিইউপি) ভাইস চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান।