শনিবার , নভেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / ঢাকা বদলে দিতে পারে পরিবর্তিত পথনকশা

ঢাকা বদলে দিতে পারে পরিবর্তিত পথনকশা

যানজটের ঢাকাকে বদলে দিবে সংশোধিত পরিবহন পরিকল্পনা বা আরএসটিপি। অন্তত এমন স্বপ্ন নিয়েই বাস্তবায়ন চলছে পরিকল্পনার। দ্রুত এগোচ্ছে মেট্রো রেল নির্মাণের কাজ। সড়ক তৈরি হচ্ছে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট-বিআরটিএর জন্যও।

রাজধানীর জন্য নেওয়া কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা-এসটিপি ২০২৪ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বোঝার পর তা ২০১৪ সাল থেকে সংশোধন করা শুরু হয়। ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয় রিভাইজড এসটিপি তথা আরএসটিপি। এ সংশোধিত পরিবহন পরিকল্পনার প্রতিবেদন মতে, ২০১৫ সালে ঢাকা ও আশপাশে এক কোটি ৭০ লাখ মানুষের বসবাস ছিল। ঢাকায় দৈনিক ট্রিপের পরিমাণ ছিল গড়ে প্রায় তিন কোটি। তার মধ্যে বাস ও মিনিবাসে ৪৭, রিকশায় ৩২, ব্যক্তিগত গাড়িতে ৯, সিএনজি অটোরিকশায় ৯ ও মোটরসাইকেলে ৩ শতাংশ ট্রিপ হয়। আরএসটিপির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালে রাজধানীতে গাড়ির দৈনিক ট্রিপ হবে চার কোটি ২৭ লাখ। এর মধ্যে ৬৩ শতাংশ ট্রিপই দেবে বাস। ২০৩৫ সালে বাসের ট্রিপ বেড়ে হবে পাঁচ কোটিরও বেশি। তবে মেট্রো রেল ও বিআরটি চালু হলে বাসের ট্রিপ হার কমে যাবে।

আরএসটিপির চূড়ান্ত পথনকশায় বলা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে জনসংখ্যা ৫৫ শতাংশ বেড়ে যাবে। এই সময়ের মধ্যে রাজধানী ও আশপাশে পাঁচটি মেট্রো রেল, দুটি বিআরটি ও ছয়টি উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে। যানবাহন চাহিদার ৬৪ শতাংশ পূরণ করতে পারবে এসব মেট্রো রেল ও বিআরটি। ঢাকার চারপাশে তিনটি বৃত্তাকার সড়ক নির্মাণ করা হবে। মহানগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাসের রুট সমন্বয় করা হবে। পাঁচটি মেট্রো রেলের মধ্যে একটি উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্পের কাজ চলছে। সুপারিশ অনুসারে, দুটো রুটে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি সড়ক নির্মাণ করতে হবে। তার মধ্যে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটি নির্মাণের কাজ চলছে।

নির্মাণ করতে হবে ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে। এসবের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু বিভাগ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাজের উদ্বোধন হয়েছে। অন্য চারটি হলো ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা- চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-সিলেট এক্সপ্রেসওয়ে ও ঢাকা-ময়মনসিংহ এক্সপ্রেসওয়ে। 

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করতে ২০০৪ সালে প্রণীত হয় ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি)। এসটিপির লক্ষ্য ছিল ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরীণ সড়কের উন্নয়ন, মহানগরীর প্রবেশ ও নির্গমন পয়েন্টগুলোতে যানজট নিরসন ও পরিকল্পিত গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

আরও দেখুন

পিরোজপুরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে দিনব্যাপীপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ঢাকা: মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে পিরোজপুরের …