নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন ওয়ার্ডে সাতটি পার্ক ও একটি মাঠের উদ্বোধন করেছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর শ্যামলী পার্কে একযোগে তিনি এই ‘সাতটি পার্ক ও মাঠের শুভ উদ্বোধন’ করেন।
শ্যামলী পার্ক ও মাঠগুলো হলো শ্যামলী পার্ক, ইকবাল রোড পার্ক, হুমায়ুন রোড পার্ক, বনানী ব্লক-সি পার্ক, বারিধারা পার্ক, বনানী ব্লক-এফ পার্ক ও রায়েরবাজার বৈশাখী খেলার মাঠ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরবাসীর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় নববর্ষের উপহার হিসেবে সাতটি পার্ক ও মাঠ উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো। এগুলো আপনাদেরই পার্ক। আপনাদেরই এই পার্ক ও মাঠগুলো দেখে রাখতে হবে। মাঠগুলোকে আপনারা সন্তানের মতো ভালোবাসবেন এটা আমার অনুরোধ।
তিনি বলেন, শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষসহ সবার সুবিধার কথা বিবেচনা করেই এই পার্ক ও মাঠগুলোর নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। মাঠে রয়েছে শিশু ও বড়দের আলাদা খেলার জায়গা, নারীদের বসার সুব্যবস্থা, বসে খেলা উপভোগ করার জন্য রয়েছে গ্যালারি। আমরা এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদার ভিত্তিতেই এই পার্ক ও মাঠের নকশা প্রণয়ন করেছি।
মেয়র বলেন, এই মাঠে কখনো যেন পানি না জমে এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এমনভাবে করা হয়েছে যেখানে ক্রিকেট ও ফুটবল দুটি খেলাই খেলা যাবে। বহুমুখী উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই মাঠের নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে।
ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মেয়র বলেন, আপনারা জনগণের খাল ও নদী বালু দিয়ে ভরাট করে বেদখল করবেন না। আপনারা নকশা অনুমোদনের সময় যে খেলার মাঠ, পার্ক, কবরস্থান দেখিয়েছেন সেগুলো নগরবাসীকে ফিরিয়ে দিন। সেগুলো ফিরিয়ে না দিলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। এগুলো ফিরিয়ে না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খেলার মাঠ, পার্ক, খাল এগুলো উদ্ধার করে দিতেই হবে। তাদের প্রতি এটা আমাদের দায়িত্ব। এগুলো না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রশ্ন করবে আপনারা আমাদের কি দিয়েছেন। মহানগর জরিপ অনুযায়ী ৬০ ফুট খালকে ৬ ফুট বানিয়ে খালের সীমানা নির্ধারণ করে দখল করা যাবে না। সিএসও আরএস অনুযায়ী যেটি বেশি সেই অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে।
এসময় তিনি ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের আগামী সাতদিনের মধ্যে এই পার্ক ও মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটি করার নির্দেশনা দেন।
বক্তব্য শেষে মেয়র সাতটি পার্ক ও খেলার মাঠের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সাতটি পার্ক ও খেলার মাঠ হলো শ্যামলী পার্ক, ইকবাল রোড পার্ক, হুমায়ুন রোড পার্ক, বনানী ব্লক-সি পার্ক, বারিধারা পার্ক, বনানী ব্লক-এফ পার্ক, রায়ের বাজার বৈশাখী খেলার মাঠ।
উদ্বোধন শেষে মেয়র অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে শ্যামলী পার্কে বৃক্ষরোপণ করেন ও পুরো পার্কটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে পার্কের বিভিন্ন স্থাপনা ও খেলার সরঞ্জামগুলো ঘুরে দেখেন। শিশুদের সাথে কথা বলেন ও আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান। সাতটি পার্ক ও মাঠের উন্নয়নকাজ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য এই পার্ক ও মাঠগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক সুবিধা সংবলিত পার্ক ও মাঠগুলো পেয়ে আমরা সত্যি আনন্দিত। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমরা সবসময় ডিএনসিসির পাশে আছি।
৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।