নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীতে বসবাসরত ৬৪ জেলার বাসিন্দারা পাসপোর্ট করতে নিজ জেলায় না গিয়ে ঢাকার তিনটি অফিসে ভিড় জমান। ফলে পোহাতে হয় নানা ধরণের ভোগান্তি। এসব ভোগান্তি দূর করতে উদ্যোগ নিয়েছে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর। শিগগিরই ঢাকার মতিঝিল ও বসিলায় দুটি এপ্লিকেশন প্রোসেসিং সেন্টার (এপিসি) বা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালুর প্রক্রিয়া চলছে। এরমধ্যে মতিঝিল এপিসির আওতায় থাকবে ঢাকা পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ মতিঝিল, পল্টন, রামপুরা, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, চকবাজার, দোহার ও বংশাল এলাকা।
অন্যদিকে বসিলা এপিসির আওতাভুক্ত হবে ঢাকা পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ আদাবর, সাভার, ধামরাই, শাহ্আলী, তুরাগ, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ এলাকা।
সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকা শহরে সারাদেশের প্রায় ২ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করেন। এসব নাগরিকের পাসপোর্ট সেবা পেতে নানা ধরণের ভোগান্তি পোহাতে হয়। দীর্ঘ লাইন থেকে শুরু করে পাসপোর্ট পেতে অনেক সময়ও ক্ষেপণ হয়। তাছাড়া পাসপোর্টের বর্তমান অফিসগুলোও সেবা দিতে হিমশিম খায়। এসব বিবেচনায় পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। সেই চিঠি অনুমোদনের পর দ্রুত চলছে এপিসি সেন্টার চালুর প্রক্রিয়া। এতে একদিকে সাধারণ নাগরিকের ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে সহজে মিলবে পাসপোর্ট সেবা।
সূত্র আরো জানায়, ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ রাজধানী ঢাকার পূর্বাঞ্চল ও ঢাকা পশ্চিমাঞ্চল অফিস চূড়ান্ত করেছে। ঢাকাতে কোন বাড়ি ভাড়া নিতে গেলে আবাসন পরিদপ্তরের ছাড়পত্র লাগে। সেজন্য মন্ত্রণালয়ের মাধমে তাদেরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই চিঠির উত্তর আসলেই এপিসির কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
তিনটি পাসপোর্ট অফিস থাকার পরও ঢাকায় আরো দুটি এপিসি চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শিহাব উদ্দিন খান ভোরের কাগজকে বলেন, গ্রাহকদেরকে নির্বিঘেœ সেবা দিতেই এই কর্মযজ্ঞ। ঢাকায় ৬৪ জেলার মানুষ বসবাস করে। আমাদের জায়গার সংকুলান না হওয়ায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কবে নাগাদ এপিসি সেন্টার দুটি চালু হবে- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ঢাকার পশ্চিমে বসিলায় একটি বাড়ি এবং ঢাকা পূর্ব অফিসের জন্য মতিঝিলের পুরনো বিমান অফিস (বলাকা ভবন) পেয়েছি। এই দুটি ভবন আমাদের অফিসের জন্য কতটুকু উপযোগী তা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।
লোকবল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিহাব উদ্দিন খান বলেন, আমাদের টেবিল অফ অর্গানাইজেশন এন্ড ইকুইপমেন্টের (টিওএন্ডই) আওতায় না আসা পর্যন্ত আগারগাঁয়ের বিদ্যমান লোকবল রি-শিডিউল করে কাজ চালাতে হবে।