খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসেনকে যুক্ত করা নিয়ে বিএনপি ও দলটির ঘনিষ্ঠ শরিক নেতাদের মধ্যে চলছে অন্তঃকোন্দল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য কোন্দলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনকে যুক্ত করার ব্যাপারে বিএনপি ও দলটির ঘনিষ্ঠ শরিক নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। এই ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকের বিষয়ে প্রথম আগ্রহ দেখান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। কিন্তু পরবর্তীতে শুনানির দিন মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে জমা না হওয়ায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানি না করে ১২ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ।
বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন শুনানিতে ড. কামালকে যুক্ত করতে ঠিক ভরসা পাচ্ছেনা বিএনপির শীর্ষ নেতারা। কিন্তু ঐক্য ফ্রন্টের নেতারা এতে অতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন। এর ফলে দু’পক্ষের নেতাদের মধ্যেই বাক-বিতন্ডতা হচ্ছে। এর মধ্যেই বিএনপির কার্যালয়ে একটি বৈঠকে ড. কামালকে ‘বাতিল মাল’ বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
তবে তৃণমূল বিএনপি মনে করছে, মূলত অভিজ্ঞ ড. কামালের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার জামিন পাবার সম্ভাবনার আছে বিদায় শীর্ষ নেতৃত্ব এটিতে সায় দিচ্ছে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই শীর্ষ নেতাদের ক্ষমতা খালেদা জিয়ার নিকট চলে যাওয়া। বিএনপির নয়াপল্টন অফিসের একজন স্টাফ বলেন, ‘এবার আশা ছিল খালেদা জিয়া এই মামলায় জামিন পেয়ে যাবেন ড. কামালের মাধ্যমে। কিন্তু নেতারা তো রাজি হচ্ছেন না।’
নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, ‘বিএনপিতে লিডারশিপের অভাব রয়েছে। কর্মী আছেন। কর্মীরা জীবন দিতে প্রস্তুত। অথচ তাদের নিয়ে রাস্তায় নামার মতো কোন নেতা নেই। এখন খালেদা জিয়ার জন্য সিনিয়র নেতারা মায়াকান্না করছেন। কোনোদিন তিনি মুক্তি পেলে এই সিনিয়র নেতারা দাবি করবেন, তারাই খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য কথা বলেছেন। আমার তো সন্দেহ হয় বিএনপির সিনিয়র নেতারা আসলেই খালেদা জিয়ার মুক্তি চান কিনা !’