নিউজ ডেস্ক:
ডেঙ্গু প্রতিরোধে আজ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান শুরু করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অন্তত আগস্ট পর্যন্ত প্রতি মাসে ১০ দিনব্যাপী এই চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। গত ৩ জুন অনলাইনে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশনের প্রথম সভায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আতিকুল ইসলাম সেই অনলাইন সভায় বলেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া যেন গত বছরের মতো ভয়াবহ রূপ নিতে না পারে সেজন্য আমি আগে থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। গত ১০ মে থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে। কোথাও জমে থাকা পানি বা এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে সেটি যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানও হয়, সেখানে আইন অনুযায়ী অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ১৬ মে থেকে পরিচ্ছন্নতা ও মশককর্মী দ্বারা পাঁচটি ওয়ার্ডে ঈদের আগ পর্যন্ত চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আগামী ৬ জুন থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান শুরু হবে। নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে বিনা মূল্যে ডিএনসিসি এলাকার পাঁচটি নগর মাতৃসদন ও ২২টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত ১১ মে থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
মেয়র বলেন, করোনাকালে ডিএনসিসি একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি। প্রতিদিন ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাছেন। মেয়র পদে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করার আগে থেকেই এ মহাদুর্যোগের সময়ে আমিও নগরবাসীর পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি।
এ সময় তিনি করোনা মোকাবেলায় ডিএনসিসির বিভিন্ন কার্যক্রম কাউন্সিলরদের কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৩১ মে পর্যন্ত ডিএনসিসি ১০টি ওয়াটার বাউজারের সাহায্যে ৮৬ লাখ ১০ হাজার লিটার তরল জীবাণুনাশক ডিএনসিসির প্রায় ১২ কোটি ৯২ লাখ বর্গফুট এলাকায় ছিটানো হয়। এছাড়া সাতটি স্থানে করোনা স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপন করা হয়েছে। কভিড-১৯ টেস্টিং ল্যাব (পিসিআর মেশিন) স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে সাময়িকভাবে মহাখালী ডিএনসিসি মার্কেট করোনা হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
করপোরেশন সভায় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর সাইদুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।