কোভিড-১৯ বা করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে দায়িত্বরত ডাক্তার-নার্স ও অন্যান্যদের প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওসহ ২০টি হোটেলে রাখার ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. আমিনুল হাসান এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বাস্থ্য সচিব বরাবর পাঠিয়েছেন। এতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্য সেবাদানকারী সদস্যদের কোয়ারেন্টিন/অবস্থানের নিমিত্তে প্রস্তাবিত হোটেলগুলোর তালিকা চুক্তি/রিক্যুজিশন করা বিষয়ক’ ওই চিঠিতে বলা হয়েছে-ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে সেবাদানকারী ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য সদস্যদের অবস্থান/কোয়ারেন্টিনে থাকার নিমিত্তে হোটেলগুলোর নামের তালিকা এবং প্রয়োজনীয় রুমের সংখ্যাসহ আপনার অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হলো।
আরও উল্লেখ করা হয়, রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে ২১০টি কামরা রয়েছে। এখানে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বরতদের রাখা হতে পারে। মহাখালী শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে দায়িত্বরতদের জন্য ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন, হোটেল অবকাশ, হোটেল রেনেসা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, প্যাসিফিক লেক ভিউ অ্যান্ড রিসোর্ট, লা মেরিডিয়ান হোটেল, হোটেল জাকারিয়ার কথা বলা হয়েছে। যেখানে কামরা রয়েছে ১১০ থেকে ১২০টি।
কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে দায়িত্বরতদের জন্য হোটেল মেফোলিফ ও হোটেল মিলিনায় রাখার জন্য বলা হয়েছে।
মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরতদের জন্য রাখা হচ্ছে গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেল, হোটেল শ্যামলী ও হোটেল ড্রিমল্যাণ্ড। এ তিন হোটেলে কামরা রয়েছে ৭০ থেকে ৮০টি।
মহানগর জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বরতদের জন্য রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে রাজমনি ঈশা খাঁ হোটেল, ফারসূ হোটেল ও হোটেল ৭১। এই তিন হোটেলে কামরা রয়েছে ৮০ থেকে ১০০টি। এছাড়া রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবাদানকারীদের জন্যে রাখা হচ্ছে হোটেল সাগরিকা, হোটে গ্যান্ড সারকেল ইন ও হোটেল শালিমার। এ তিন হাসপাতালে কামরা রয়েছে ৬০ থেকে ৭০টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২০