নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সের ঔষধ সরবরাহের ৭০লাখ টাকার টেন্ডার পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইমদাদুল হক হীরা নামের একজন ঠিকাদার। কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি! টেন্ডার পেয়ে যান পাবনার মের্সাস আহনাফ এন্টারপ্রাইজ এবং আর জেড এস এন্টারপ্রাইজ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ঠিকাদার হীরা। এরই জেরে সোমবার দুপুরে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে হাসপাতালের প্রধান সহকারী শহিদুল ইসলাম দাপ্তরিক কাজে আসলে তাকে মারপিট করেন ঠিকাদার হীরা। এসময় ঠিকাদার হীরার বিরুদ্ধে শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোন এবং চাবী কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে সিভিল সার্জনের মধ্যস্থতায় মোবাইল ফোন এবং চাবী ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। ঘটনার সময় সিভিল সার্জন তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা যায়। এদিকে, ঠিকাদারের এমন আচরণে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কর্মচারীরা। তারা ঠিকাদারের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি ও বিচারের দাবি জানান।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ সরবরাহের জন্য ৭০লাখ টাকার একটি টেন্ডার আহ্বান করা হলে ঠিকাদার ইমদাদুল হক হীরাসহ মোট ৬জন ঠিকাদার অংশগ্রহন করেন। আর এই কাজের টেন্ডার পেয়ে যায় পাবনার মেসার্স আহনাফ এন্টারপ্রাইজ এবং আর জেড এস এন্টারপ্রাইজ। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ঠিকাদার হীরা। অফিসেই ওই কর্মচারীর কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেওয়াসহ মারপিট করেন ঠিকাদার হীরা।
জেলা সিভিল সার্জনের অধীনে নাটোর সদর হাসপাতাল সহ ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে এক চেটিয়া ভাবে ওষধ সরবরাহ করে আসছিল ঠিকাদার এমদাদুল হক হীরা। সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের অধীনে ওষধ ক্রয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উপজেলা পর্যায় থেকেই টেন্ডার আহ্বান করা হচ্ছে।
সূত্রে আরো জানা যায়, কার্যালয়ে ঠিকাদার হীরা অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীর মত অবস্থান করেন। কেউ তার বিরুদ্ধে কিছু বললে তিনি সবার সাথে অশোভন আচরণ করেন। পুরো কার্যালয় তার জিম্মায় বলে অভিযোগ করেন একাধিক কর্মচারী। তারা ঠিকাদারের জিম্মিদশা থেকে পরিত্রাণ চান।
এ বিষয়ে ঠিকাদার ইমদাদুল হক হীরার সেল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী শহিদুল ইসলাম জানান, “সোমবার দুপুরে অফিসিয়াল কাজে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে গেলে টেন্ডারের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঠিকাদার হীরা আমাকে চড় থাপ্পর মারে। পরে অফিসের অন্যরা এসে উদ্ধার করে। আমি বিষয়টি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের সিদ্ধান্তে পরবর্তী আইনী প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।”
নাটোর জেলা সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন কুমার সাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও দেখুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …