নিউজ ডেস্ক:
আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে কক্সবাজারের অন্যতম পর্যটন স্পট প্রবালদ্বীপে পর্যটক যাতায়াত শুরু হচ্ছে। প্রথমদিন কেয়ারি ডাইন নামের জাহাজটি প্রায় সাড়ে ৩০০ যাত্রী নিয়ে টেকনাফ থেকে যাত্রা করার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের একমাত্র জেটিটি ভঙ্গুর প্রায়। এটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় মৌসুম শুরুর দেড় মাস হয়ে গেলেও সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করা যায়নি। কিন্তু প্রশাসনের তদারকিতে ভঙ্গুর জেটিটি সংস্কার করা হচ্ছিল পক্ষকাল ধরে। এটি মোটামুটি চলাচল উপযোগী করতে পারায় মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষামূলক এ মৌসুমের প্রথম জাহাজ যাত্রা শুরু করবে। এদিন পর্যটকরা নিরাপদ যাতায়াত করতে সক্ষম হলে বাকি জাহাজগুলোও পর্যটক সেবায় চলাচল করবে বলে জানান তিনি।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, এ বছর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলের অনুমতির জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ডাইন, পারিজাত, ফারহান, রাজহংস ও সুকান্ত বাবু নামে ছয়টি জাহাজ। যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সব কাগজপত্র জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন প্রথম জাহাজ ঠিকভাবে ফেরত আসলে বাকিরা হয়তো চলাচলের অনুমতি পেতে পারে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ যুগান্তরকে বলেন, দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আবারো জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। আমরা গত ১ নভেম্বর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য জাহাজে করে সেন্টমার্টিন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। নতুন জেটি নির্মাণে বেগ পাওয়ায় আগের জেটিটি প্রাথমিকভাবে মেরামত করা হয়েছে। এখন ব্যবহার উপযোগী হওয়ায় জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
পর্যটনের দায়িত্বপ্রাপ্ত (এডিএম) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন পরীক্ষামূলক চলাচল করবে। পর্যায়ক্রমে অবস্থা বুঝে আবেদন করা জাহাজগুলোকে অনুমতি দেওয়া হবে।
কেয়ারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের কক্সবাজার অফিসের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পেয়েছি। মঙ্গলবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু করবে। যদিও এর আগে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহন দফতরের ছাড়পত্র পায়। রোববার থেকেই দ্বীপে ভ্রমণকারীদের টিকিট বিক্রি শুরু করেছি। বুকিংও ভালো হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হোটেল মালিক মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপে পর্যটনসেবী ব্যবসায়ীরা তাদের আবাসিক হোটেল ও কটেজগুলো সাজিয়ে রাখছেন। জাহাজ চলাচলের খবরে দ্বীপে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। তবে পর্যটন মৌসুমের অনেক সময় চলে গেছে।