নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোভিডের নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠেছে রপ্তানি খাত। গেল সেপ্টেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আয় বেশি হয়েছে ৬ শতাংশের মতো। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস (জুলাই-সেপ্টেম্বর) টানা বাড়ল। করোনার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অভিঘাত সামলে স্বাভাবিক চেহারায় ফিরেছে রপ্তানি খাত।
আগামী মাসগুলোতে এ ধারা বজায় থাকবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তা-রপ্তানিকারকরা। এর কারণ ক্রেতারা যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। করোনার সুরক্ষাসামগ্রী যুক্ত হয়েছে রপ্তানি তালিকায়। প্রধান বাজার ইউরোপ-আমেরিকায় পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। হাতে যে পরিমাণ রপ্তানি আদেশ আছে, তাতে চলতি অক্টোবর মাসেও ইতিবাচক ধারা বজায় থাকবে বলে আশা করছেন তারা। নতুন করে দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণ মারাত্মক রূপ না নিলে এ ধারা টেকসই হতে পারে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, গেল সেপ্টেম্বরে রপ্তানি হয়েছে ৩০২ কোটি ডলারের বিভিন্ন পণ্য। গত বছরের এই মাসে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৯২ কোটি ডলার। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরের গেল তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রপ্তানি বেড়েছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আয় বেশি হয়েছে আড়াই শতাংশ। তিন মাসে মোট ৯৯০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে বিভিন্ন দেশে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ৯৬৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি বেশি হয়েছে ২৫ কোটি ডলার বা দুই হাজার ১২৫ কোটি টাকা।
রপ্তানি তালিকার প্রধান পণ্য তৈরি পোশাক। এ খাতের অংশ মোট রপ্তানির ৮৬ শতাংশ। গত তিন মাসে পোশাকের রপ্তানি বেশি হয়েছে ১ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আয় বেশি হয়েছে ২ শতাংশ। মোট ৮১৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে এ সময়ে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৮০৬ কোটি ডলার। রপ্তানি তালিকায় পোশাকের বাইরে পাট, হিমায়িত পণ্য, কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য কিছু পণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে এ সময়।
কভিডের মধ্যেও রপ্তানি বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বিকেএমইএর পরিচালক এবং ফতুল্লা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে শামীম এহসান গতকাল সমকালকে বলেন, প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছেন তারা। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে নতুন পণ্যে শোরুম সাজাতে হবে ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর। এখন এসব পণ্যের রপ্তানি
আদেশ পাচ্ছেন তারা। একটি নতুন সম্ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ভিয়েতনাম কৃত্রিমভাবে স্থানীয় মুদ্রার মান অবনমন করে রেখেছে- গত সপ্তাহে এই অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই খবরে ক্রেতারা বিকল্প বাজার হিসেবে বাংলাদেশে দৃষ্টি বাড়াবেন বলে ধারণা তার।