নিউজ ডেস্ক:
টাঙ্গাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সদস্যদের মাঝে ৩০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা। এর আগে সোমবার যুগান্তর অনলাইনে ‘প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় পাকা দালান পাইছি, কিন্তু সরকারি সাহায্য পাই না’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়।
এই বিষয়টি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনির নজরে এলে জেলার ১২ উপজেলার দুই হাজার পরিবারের মাঝে ১৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করা হবে।
এ ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিসহ ঘরপ্রাপ্তদের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্র জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রথম পর্যায়ে টাঙ্গাইলের ১২ উপজেলায় এক হাজার ১৭৪টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এক হাজার ১৩০টি ঘর ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৪৯০ পরিবারের জন্য সাত হাজার ৩৫০ কেজি, ধনবাড়ীতে ১৪৭ পরিবারের জন্য দুই হাজার ২০৫ কেজি, মধুপুরে ২১২ পরিবারের জন্য তিন হাজার ১৮০ কেজি, গোপালপুরে ১৪৮ পরিবারের মধ্যে দুই হাজার ২২০ কেজি, ভূঞাপুরে ১২০ পরিবারের জন্য এক হাজার ৮০০ কেজি, ঘাটাইলে ২৭৩ পরিবারের জন্য চার হাজার ৯৫ কেজি, কালিহাতীতে ১৫৫ পরিবারের জন্য দুই হাজার ৩২৫ কেজি, নাগরপুরে ৬৯ পরিবারের জন্য এক হাজার ৩৫ কেজি, দেলদুয়ারে ২০ পরিবারের জন্য ৩০০ কেজি, মির্জাপুরে ২৬১ পরিবারের জন্য তিন হাজার ৯১৫ কেজি, সখিপুরে ৬৭ পরিবারের জন্য এক হাজার ৫ কেজি, বাসাইলে ৩৮ পরিবারের জন্য ৫৭০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় ভোটার বা জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত করছিলেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আসার পর তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনওদের সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় ভোটার ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ কেজি করে ৩০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আশ্রয়ণের প্রকল্পের অধিবাসীরা সরকারের সব সুবিধা যাতে পায় তার জন্য ইউনিএনও ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।