নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলিঃ
হিলিতে মাদকসহ এক চোরাকারবারীকে আটকের পর ২ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে পাঁচবিবি থানার উপ পরিদর্শক এস.আই আমিনুর রহমান, সহ-উপ পরিদর্শক (এ.এস.আই) রবিউল আওয়ালকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে বেতার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কন্সটেবল মুক্তার হোসেনকে ক্লোজড করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহষ্পতিবার বিকেলে পাঁচবিবি থানার অভিযুক্ত ওই ৩ পুলিশ সদস্য দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার অর্ন্তগত হিলি সীমান্তবর্তী হাঁড়িপুকুর এলাকা থেকে উপজেলার রায়ভাগ গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে মাদক কারবারী আমজাদ হোসেনকে ইয়াবাসহ আটক করেন। আটক করার পর মাদক কারবারী আমজাদকে পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর এলাকার মাঠে নিয়ে গিয়ে এস আই আমিনুরের সোর্স হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার হাঁসের পাড়া গ্রামের মারফিদুল ইসলাম ও শাকিল হোসেন এর মধ্যস্থতায় ২ লাখ টাকায় আমজাদকে ছেড়ে দেয়, পরে আরও পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য এস আই আমিনুরের সোর্সরা আমজাদকে চাপ দিতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানালে সাংবাদিকরা ওই সোর্সদের হাকিমপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ্দ করেন।
পরে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার সালাম কবীর এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেনের তত্ত¡াবধানে একটি তদন্ত টীম গঠন করা হয়, প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্ত ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হয়।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ জানান, জয়পুরহাট জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন একটি তদন্ত টিম হাকিমপুরে তদন্ত করেছেন, বিষয়টি যেহেতু অন্য জেলার সেহেতু তারাই ভালো বলতে পারবেন এবং মারফিদুল ও শাকিল হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত এস.আই আমিনুর রহমান, এ.এস.আই রবিউল আওয়ালকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বেতার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কন্সটেবল মুক্তার হোসেনকে ক্লোজড করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।