নিউজ ডেস্ক:
ঝিনাইদহে ইটভাটার অবৈধ ট্রাক্টর-ট্রলি পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি উঠানোয় পাকা রাস্তায় কাদায় পরিণত হয়েছে। শহরের পাগলা কানাই ঢোল সমুদ্র দীঘি রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করে। হালকা বৃষ্টিতে পাকা রাস্তার উপর কাদার সৃষ্টি হয়েছে। পাকা রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে। ইটভাটার মালিকরা জনদুর্ভোগকে থোড়াই কেয়ার করে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের পাগলা কানাই থেকে ঢোল সমুদ্র দীঘি হয়ে বাড়িবাথান, রাজাপুর, বেড়বাড়ী ও তেতুলতলা এসব সড়কসহ প্রতিটি রাস্তায় ব্যাপক কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে রাস্তার চলাচলকারী জনগণ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। এছাড়া ভ্যান, সিএনজি, চলাচলে ব্যাপক বিঘœ ঘটছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীদের ভোগান্তিআরো চরম আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটার ট্রাক্টরে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করা মাটি সড়কে পড়ে। বেশ কিছুদিন ধরে ধুলায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছিল। এখন বৃষ্টি হওয়াতে পাকা রাস্তাটি কাদাময় হয়ে পড়েছে।
রাস্তায় প্রতিনিয়িত চলাচলকারী দাউদ হোসেন বলেন, ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহী যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় রাস্তায় শুকনোয় ধুলা আর বর্ষায় কাদাময় হয়ে থাকে দেখে বুঝার উপায় থাকে না এটা পাকা রাস্তা। এতে বছরজুড়েই এই সড়কে চলাচল করতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
কলেজ ছাত্র সাব্বির বলেন, দেখে বোঝার উপায় নেই এটা পাকা রাস্তা । বৃষ্টিতে রাস্তায় পড়ে থাকা ইট ভাটার মাটিতে এ কাদার সৃষ্টি হয়েছে।
ঝিনাইদহ পাগলাকানাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, সমস্যা নিয়ে অনেক দিন ধরে এ সড়কে চলাচল করছি। প্রতিদিন এ সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। যার মূল কারণই হলো ইট ভাটা। এদের কারণে পাকা রাস্তা হয়ে পড়েছে কাঁচা রাস্তায়।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলাম জানান, আমার নিকট কোন অভিযোগ আসেনি। খোঁজ নিয়ে ইঁটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে এমএমআর নামে একটি ইটভাটার মালিক মিজানুর রহমান মাসুম জানান, একমাস আগে থেকে মাটি টানা বন্ধ। তাই পথচারিরা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক না। তবে যদি কোন মাটি রাস্তার উপর থাকে তবে আমি পরিস্কার করে দেব।
এলাকাবাসী দ্রুত ইটভাটাগুলি সরিয়ে নেওয়ার জোর দাবী জানান।