রবিবার , অক্টোবর ৬ ২০২৪
নীড় পাতা / পূর্ববঙ্গ / ঝিনাইগাতীতে মিথ্যা মামলায় অসহায় পরিবারকে হয়রানী ও বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ

ঝিনাইগাতীতে মিথ্যা মামলায় অসহায় পরিবারকে হয়রানী ও বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর:

ঝিনাইগাতীর সেই বহুল আলোচিত মহিলা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে এবার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে অসহায় পরিবারকে নির্যাতন, হয়রানী ও বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে।

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী ছবিরন নেছা ৫ জুলাই শেরপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ছবিরন নেছা জানান, কলেজ সংলগ্ন এলাকায় তিনি ১০শতাংশ ক্রয় করে ওই জমিতে দুইটি ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছিলেন। উক্ত জমির প্রতি লোভ জাগে কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানের। খলিলুর রহমান জমিটি ক্রয় করার জন্য প্রস্তাব দেন ছবিরন নেছাকে। ছবিরন নেছা জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করেন। পরে ওই অসহায় পরিবারকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান।

২০১৮সালে অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান কলেজের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ছবিরনের বাড়ির ২টি ঘর গুড়িয়ে দেয়। এসময় ছবিরন নেছা বাধা দিতে গেলে তাকে গাছে বেঁধে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করে তাদের উপর হামলা হয়েছে মর্মে ছবিরন নেছা তার ২ ছেলে ও ৩ ভাইয়ের নামে থানায় উল্টো মামলা দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ওই ঘটনার সময় ছবিরন নেছার ২ ছেলে সোহেল ও শরাফত বাড়িতে না থাকলেও তাদের নামে দেয়া হয় মামলা। উক্ত মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে শরাফত গত ২ বছর যাবত গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ছবিরন নেছার বসতঘর গুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে তখন থেকেই থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিচারের আশায়। কিন্তু আজও কোন বিচার পায়নি ছবিরন নেছা। এনিয়ে অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ছবিরন নেছা এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরও দেখুন

নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বড়াইগ্রামে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত 

  নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষকের কন্ঠস্বর, শিক্ষায় একটি নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নাটোরের বড়াইগ্রামে …