নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মাটিয়াপাড়া বাগেরভিটা- রাস্তা সংস্কার, সম্প্রসারণ ও পাকাকরনের অভাবে ১৫ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাটিয়াপাড়া সিএন্ডবি রোড থেকে শাড়ি কালিনগর গজার মারি হয়ে বাগেরভিটা বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রাস্তা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এ রাস্তাটি পাকা করণের দাবি উঠে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস পাওয়া যায় কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ পথে মাটিয়া পাড়া, শাড়ি কালিনগর, বালুরচর, কালিনগর, নয়াপাড়া, দাড়িয়ার পাড়, কান্দুলী, কুচনিপাড়া, বাগেরভিটা, কোনাগাঁও, আহম্মদনগর, কালিনগর, জরাকুড়া, পাইকুড়া ও ধানশাইল সহ ১৫ টি গ্রামের শত শত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু রাস্তাটি পাকাকরনের অভাবে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কালিনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন, সুমন মিয়া, তারা মিয়া, তোতা মিয়া, কোনাগাঁও গ্রামের লিটন মিয়া, মজনু মিয়া সহ গ্রামবাসীরা জানান, শুষ্ক মৌসুমে যেমন-তেমন বর্ষা মৌসুমে এপথে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগের সীমা থাকেনা। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও গবাদি পশু পারাপারে সীমাহীন বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের।
ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় গ্রামবাসীদের পারাপারে দুর্ভোগের সীমা থাকেনা। তখন মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌকা।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন বলেন, রাস্তাটির নির্মাণ না করেই ২০০৪ সালে এ রাস্তার মাঝখানে গজার মাড়িতে নির্মাণ করা হয় ব্রিজ। দুইপাশে রাস্তা না থাকায় এলজিইডির প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ব্রীজটি কাজে আসছে না গ্রামবাসীদের। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমেও ব্রীজটি গ্রামবাসীদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, প্রাক্কলন সহ ওই রাস্তা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই রাস্তাটি অনুমোদন হতে পারে।