নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে প্রতিপক্ষের হামলায় গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হল সুবেদা বেগম (৩২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর। ঘটনাটি ঘটে, ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের নাচন মহুরী গ্রামে। সুবেদা বেগম ওই গ্রামের দরিদ্র কৃষক আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
ওই গ্রামের ইউপি সদস্য মুসলিম উদ্দিনসহ গ্রামবাসীরা জানান, ওই গ্রামের প্রতিবেশী ইসমাইল হোসেন ওরফে ফেক্কার সাথে বসত বাড়ীর সীমানা নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। ওইদিন সকাল সারে ৮ টার দিকে ইসমাইল হোসেন ও তার লোকজন কৃষক আব্দুল মান্নানের বাড়ীর সীমানার পাশে রোপিত ১৫ টি সুপারী চারা গাছ উপরে ফেলে। এ সময় আব্দুল মান্নান বাধা দিতে গেলে ইসমাইল হোসেন ফেক্কা ও তার লোকজন মান্নানকে বেধরক মারপিট করে। এতে তিনি গুরুতর ভাবে আহত হন। এসময় মান্নানের ডাক চিৎকারে তার স্ত্রী অন্তসত্বা গৃহবধু সুবেদা বেগম তার স্বামীকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কিল ঘুষি লাথি মেরে গুরুতরভাবে আহত করে।
পরে স্থানীয়রা আহত আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী সুবেদা বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তী করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুবেদা বেগমের গর্ভের সন্তানের মৃত্যু ঘটে। এব্যাপারে আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঝিনাইগাতী থানার কাংশা ইউনিয়নের পুলিশ পরিদর্শক এস আই হারুনুর রশিদ বলেন, ওই ঘটনায় এক পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।