নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উচ্ছেদ আতংকে ভুগছেন রতন রবিদাস নামে অসহায় এক সংখ্যালঘু পরিবার। স্হানীয় প্রভাবশালীরা তার ঘরসহ বসতবাড়ির জমি দখল করে নিয়ে তাদের ভিটে ছারা করতে নানা ষড়যন্ত্র ও ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করে আসছেন। ফলে ওই অসহায় সংখ্যালঘু পরিবার উচ্ছেদ আতংকের পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রতন রবিদাস ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামের মৃত নগেন্দ্র রবিদাসের ছেলে। রতন রবিদাস জানান,তার পৈত্রিক ভিটার ১২ শতাংশ জমিতে তারা ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দেশস্বাধীনের পুর্বে থেকেই বসবাস করে আসছেন।
বসতবাড়ির ওই জমিটুকুই তার পরিবারের বেচে থাকার একমাত্র অবলম্বণ। কিন্তু ওই জমির প্রতি লোভজাগে একই গ্রামের প্রভাবশালী সেকান্দর আলী,রুস্তম আলী,ছামিউল হকের। তারা রতন রবিদাসের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে বেশকিছু দিন ধরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ অভিযোগ রতন রবিদাসের। তিনি জানান,ইতিমধ্যেই ওই প্রভাবশালীরা রতন রবিদাসের একটি ঘরসহ বাড়ির অর্ধেক জমি বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করে নিয়েছেন। এতে রতন রবিদাসের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে ও হাটাচলা করতে পারছেন না। রতন রবিদাসের অভিযোগ ওই প্রভাবশালীরা ইতিপুর্বেও তাদের রেকর্ডীয় জমি জোরপুর্বক দখল করে নিয়ে ভোগদখল করে আসছেন।
বর্তমানে তাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন ওই প্রভাবশালীরা । এর প্রতিকার চেয়ে রতন রবিদাস ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে এবিষয়ে সেকান্দর আলী,রুস্তম আলী, ও ছামিউল হকের সাথে কথা হলে তারা বলেন রতন রবিদাসের কোন জমি আমরা জোরপুর্বক দখল করে নেইনি। টাকা দিয়ে জমি কিনে নিয়েছি। ঘর দখলের বিষয়ে তারা বলেন ঘরসহ জমি কিনে নিয়েছি বহু আগে তাদের থাকতে দিয়েছিলাম। তারা আরো বলেন রতন রবিদাসের সব জমি বিক্রি করার পর ১০ শতাংশ জমি আছে। তা এ বাড়ির জমি নয়। এ ব্যাপারে রতন রবিদাস জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ঠ সকল মহলের সু দৃষ্টি কামনা করেছেন।
আরও দেখুন
চট্টগ্রামে ”উন্নত সংযোগের মাধ্যমে চট্টগ্রামের উন্নয়ন: সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক একটি সেমিনারে অনুষ্ঠিত
নিউজ ডেস্ক:চট্টগ্রামে “উন্নত সংযোগের মাধ্যমে চট্টগ্রামের উন্নয়ন: সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। …