স্বাধীনতার আন্দোলনে ব্যবহৃত ‘জয় বাংলা’ হবে জাতীয় স্লোগান এমন রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সকল অনুষ্ঠানে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, রাষ্ট্রের সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ সবাইকে অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে গেজেট নোটিফিকেশন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি শেষে জয়বাংলা বলতে হবে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্টদেরকে পরিপত্র জারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসব নির্দেশনা পালন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন সুপ্রিমকোর্ট রেজিস্টার জেনারেল বরাবর দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন।
জয়বাংলাকে জাতীয় স্লোগান চেয়ে ২০১৭ সালের রিট দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ।
আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মতামত তুলে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আরও ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। এছাড়াও সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র কয়েকজন আইনজীবী তাদের মতামত তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, তাদের (কোর্ট) সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আবেদনকারিসহ সকল আইনজীবীদের দেওয়া আবেগ অনুভূতির সঙ্গে আদালতও একমত। কিন্তু আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে কোন ধরনের আইন প্রণয়ন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা হাইকোর্ট বিভাগের নেই। তবে আদালত তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, রাষ্ট্র চাইলে আইন বিভাগ যদি মনে করে সংবিধান সংশোধন করে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে আইনগত সঠিক রূপ রেখা ও কার্যকারিতা দেওয়া সম্ভব।
সিনিয়র আইনজীবী সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু সাংবাদিকদের বলেন, জয় বাংলা আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান নয়, এটা সমগ্র জাতির জাতীয় স্লোগান। এই স্লোগান আমাদের নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করবে।