নিউজ ডেস্ক:
বিদ্যমান জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সৌদি আরবের সহায়তা চায় বাংলাদেশ। সাশ্রয়ী মূল্যে তরলকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও জ্বালানি তেল কেনা, সংকটে সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ জ্বালানি খাত নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা কাঠামো তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
সভায় সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা বাড়াতে একটি টাস্কফোর্স গঠনে দুদেশ সম্মত হয়েছে। টাস্কফোর্স জ্বালানি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে দুদেশের সুবিধাজনক সময়ে নিয়মিত সভা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে বাণিজ্যিকভাবে এলএনজি সরবরাহ ও ইষ্টার্ণ রিফাইনারি ইউনিট ২ প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য সৌদি আরবকে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ। এতে সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েছে দেশটি।
সভায় বাংলাদেশে সৌদি আকওয়া পাওয়ারের এক হাজার মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার ও ৭৩০ মেগাওয়াটের গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দুদেশের নৌখাতে নিয়োগ, প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সৌদি আরবের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সৌদি পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টের ডেপুটি আব্দুল রহমান এম আল থুনায়েন।
বৈঠকে এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ এবং ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার এন্ড কমার্সের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিব উল্লাহ ডন স্বাক্ষর করেন। সৌদি চেম্বারের পক্ষে ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী তারিক আল হায়দারী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এছাড়া সৌদি আরবের স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ হতে দক্ষ কর্মী নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি ‘এক্সিকিউটিভ প্রোগ্রাম’ বাস্তবায়নের চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সমঝোতা হয়।
যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি, কৃষি, পরিবেশ, ধর্মীয় মূল্যবোধ ইত্যাদি বিষয়ে স্বার্থসংশ্লিষ্ট আলোচনা এবং পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৮ সদসস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ কনস্যূলেটের কর্মকর্তারাও এ প্রতিনিধি সভায় যোগ দেন।